ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

নির্মাণের পর হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২৫ জুন ২০২৫

নির্মাণের পর হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের পুণ:নির্মান কাজ শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে অন্তত: ৭ টি স্থান ধ্বসে গেছে। হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। সড়ক নির্মানে অনিয়মের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন নির্মিত সড়কের অন্তত সাতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের পাশে থাকা পুকুরগুলোর পাড় থেকে বেশির ভাগ ধ্বসে গেছে। 
স্থানীয়রা জানান, বহুদিন ধরে এই ভাঙাচোরা সড়কের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন তারা। তাদের দাবী ছিল সড়কটিদ্রুত সংস্কারের। সেই দাবীর প্রেক্ষিতে কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজ শেষের মাত্র দুই মাসের মধ্যে আবার বেহালদশায় তারা ক্ষুদ্ধ। 
গোপালপুরের বাসিন্দা মহিতুল ইসলাম বলেন, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বারবার আপত্তি জানালেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। উল্টো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ থাকতে বলা হয়।’
চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জসিম মিনা বলেন, সড়কের দুই পাশে থাকা পুকুরের পাড়ে মাত্র তিনটি স্থানে প্যারাসাইলিং দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’
স্থানীয় আরিফ শেখ বলেন, রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু এখন দেখছি, আরও সমস্যা বাড়ল।’ 
বাগেরহাট এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চন্দ্রপাড়া গ্রামের এক কিলোমিটার সড়কের পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণ কাজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল শেষ হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুবা এন্টারপ্রাইজ এই কাজ সম্পন্ন করে ইতোমধ্যে পুরো অর্থ নিয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
বাগেরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি পিরিয়ড এখনো রয়েছে। তাদের জামানতের অর্থ এখনো ছাড় করা হয়নি। সড়কের যেসব জায়গা ভেঙেছে, সেসব স্থানে ঠিকাদারকে পুণ:রায় সংস্কার করতে হবে। তা নাহলে তার জামানতের অর্থ দিয়েই কাজ করানো হবে।’

Jahan

×