
ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামার সাথে সাথে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকেরা। নদীর বাঁধ মেরামতের জন্য নির্দেশনা পেয়ে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর বরইয়া গ্রামের হাজী নুর মিয়া ভূঞা বাড়ির মৃত আবুল কালামের স্ত্রী নাসিমা আক্তার। এক ছেলের বউ ও দুই নাতিকে নিয়ে পানি বন্দি আছেন ২ দিন। সরকারি তরফ থেকে কোনো সাপ্লাই পানি ও খাবার পাননি বলে তার অভিযোগ। তিনি বলেন, আকাশে মেঘ দেখলে এখন মনে ভয় লাগে, কখন নদীর বাঁধ ভেঙে পানিতে ভাসিয়ে নেয়। হঠাৎ বানের পানি ঢুকে সব ডুবে গেছে। জিনিসপত্র সরাবো না, হাঁস-মুরগি বাঁচাবো না, বাচ্চাদের নিয়ে আশ্রয় নেব—এমন বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে পার করছি।
ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সাথে সাথে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। চরম কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন স্থানীয়রা।
বাঁধের ভাঙন পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চল কুমিল্লার প্রধান প্রকৌশলী মো: আবদুল লতিফ। এ সময় তিনি বলেন—ভাঙন মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেয়েছেন। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে মেরামত কাজ শুরু করা হবে।
গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে ফেনীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ২টি স্থানে ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
মুমু ২