ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

নোয়াখালীতে চোরকে চিনে ফেলায় নারীকে জবাই করে হত্যা, গ্রেপ্তার–২

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ২১ জুন ২০২৫

নোয়াখালীতে চোরকে চিনে ফেলায় নারীকে জবাই করে হত্যা, গ্রেপ্তার–২

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিজ ঘরে বৃদ্ধা নারী সিতারা বেগম (৭০)–কে জবাই করে হত্যার ঘটনার ২০ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রামের কামলা বাড়ির রুহুল আমিনের ছেলে মোরশেদ আলম ওরফে মুন্সি (৩২) ও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার বিনয়নগর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত নূর নবী খোকনের ছেলে মো. মাহফুজুন নবী সুজন (৩৩)।

শনিবার ভোররাতে বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ও সোনাইমুড়ীর বজরা বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতের কোনো এক সময় সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিতারা বেগম (৭০) একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হকের স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতের কোনো এক সময় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজী বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে বিধবা নারী সিতারা বেগমকে জবাই করে হত্যা করে চোরেরা। শনিবার ভোররাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর এলাকা থেকে ক্লুলেস হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত আসামি মোরশেদ আলম ওরফে মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার ভাষ্যমতে তার বসতঘরের শয়নকক্ষ থেকে ভিকটিম সিতারা বেগমের ব্যবহৃত একটি বাটন মোবাইল ফোন, কয়েকটি প্রিন্ট শাড়ি, জামাকাপড় ও ১টি সাউন্ড বক্স উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোররাতে সোনাইমুড়ীর বজরা বাজার এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত প্রধান আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থল ও ধৃত আসামির হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় দা, একটি স্ক্রু-ড্রাইভার, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত সিতারা তার এক ছেলের সঙ্গে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকায় বসবাস করতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন তার কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় তার ঘরে যান এবং ভেতরে সিতারার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনা শুনে লোকজন গিয়ে দেখে টিনশেড ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সিতারা বেগমকে হত্যা করা হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, চোরকে চিনে ফেলায় ওই নারীকে জবাই করে হত্যা করা হয়। আসামিদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি সুজন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সানজানা

আরো পড়ুন  

×