ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

নরসিংদীতে ছাত্রদল–বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২১ জুন ২০২৫

নরসিংদীতে ছাত্রদল–বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল–বিএনপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া।

নিহত ঈসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে এবং পলাশ ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন, "আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা গেছে। ময়নাতদন্তের পর আমাদেরকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং আমরা আজ রাতেই গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করব।” তিনি এ হত্যার বিচার চেয়ে হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি জানান।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, "নিহত ঈসমাইল হোসেন আমাদের কর্মী ছিলেন। জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজনের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। গত ১৫ জুন আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়, এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং পাশাপাশি ঈসমাইলকে হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, "আমরা জানতে পেরেছি, গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনো জানায়নি। বিষয়টি জানার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএডিসি মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন।

পরে আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঈসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সানজানা

×