
ছবি: জনকণ্ঠ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তাহমিনা আক্তার মিম (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। শিশুটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহমিনার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার বিকেলে নাওড়া গ্রামের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাহমিনা স্থানীয় রিকাত শেখের মেয়ে এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘাতক মোটরসাইকেল চালকের বাড়িসহ প্রায় ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির পাশে রাস্তায় এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তাহমিনা। এসময় ওই গ্রামের কাশেম মুন্সির ছেলে রবিউল মুন্সী বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দেওয়ার পর প্রায় ১০০ গজ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় শিশুটিকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাতেই ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান, যেখানে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
তাহমিনার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, আলগী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের মধ্যে পুরনো বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের প্রেক্ষিতে মজিবর গ্রুপের সমর্থক রবিউল মুন্সীর মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবুল কালাম গ্রুপের সমর্থক রিকাত শেখের মেয়ে তাহমিনা নিহত হয়।
এরপর আবুল কালাম গ্রুপের লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে মজিবর গ্রুপের সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এসময় মজিবর মেম্বার গ্রুপের বাবু মুন্সী, মজিবর মুন্সী, শহীদ মুন্সী, ফরহাদ মুন্সী, মতিয়ার মুন্সী, হোচেন মুন্সী ও আলমগীর মাতুব্বরের বাড়িসহ প্রায় ১৫টি বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের সময় নগদ টাকা ও বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ঘটনায় আহত অন্তত ১০ জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেন বলেন, “সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
শহীদ