ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ফটিকছড়িবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ১০:৩১, ১২ জুন ২০২৫

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ফটিকছড়িবাসী

ছবিঃ সংগৃহীত

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও অব্যবস্থাপনা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে তীব্র তাপপ্রবাহ ও বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া ১৮টি চা বাগান, পোল্ট্রি ফার্ম, মিল-কারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে বিদ্যুতের অভাবে। 

নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করার কথা থাকলেও ফটিকছড়িতে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এতে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়ালেখাও ঠিকমতো করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও লোডশেডিং। সব মিলিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।

ফটিকছড়ি জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি জেলার সমান ফটিকছড়িতে প্রায় ৩৫ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও এখন মিলছে চাহিদার অর্ধেক। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ওপর বেশি প্রভাব পড়ছে।’নাজিরহাটের ব্যবসায়ী আলী আজম  সাদেক বলেন, ‘দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ মিলছে না।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়নাল আবেদীন মুহুরী বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামের বয়স্ক রোগী এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রোগীদের সময়মতো নেবুলাইজ করা যাচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএমের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।’

নোভা

×