বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, “মডেল মসজিদ নির্মিত হয়েছে সৌদি আরবের অনুদানে, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন নয়। তাই এই নিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার কিছুই নেই। সারা বাংলাদেশে প্রতিটি উপজেলায় এরকম আরও মসজিদ আছে, যা সম্পূর্ণ সৌদি সরকারের অনুদানে নির্মিত হয়েছে।”
শনিবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় দাউদকান্দি পৌরসভার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন মডেল মসজিদে (বিশ্বরোড) ঈদুল আযহার সালাত আদায়ের পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সরকারের আমলে আমাদের নেতা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন করবস্থানের উন্নয়ন এবং সামনের পুকুর ভরাট করে এই বিশাল ঈদগাহ মাঠ তৈরি করেন। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার এই ঈদগাহে তেমন কোনো উন্নয়ন করেনি। আজ আমরা ঈদের নামাজ মাঠে না পড়ে মসজিদে পড়ছি—এ থেকেই বুঝা যায়, গত ১৫ বছরে তারা কী উন্নয়ন করেছেন।”
ড. মারুফ হোসেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সামনে যে ঈদগাহ মাঠটি আছে, সেটিকে এমনভাবে উন্নয়ন করা হবে যাতে ঝড়, বৃষ্টি কিংবা রোদ যাই থাকুক না কেন, ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের নামাজ আর মসজিদে পড়তে না হয়। এটা আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
পৌর বিএনপি'র যুগ্ন-আহবায়ক সওগাত চৌধুরী পিটারের সঞ্চালণায় ও মডেল মসজিদের সভাপতি এবং দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জুনায়েত চৌধুরী'র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন।
মসজিদ কমিটি'র সাধারণ সম্পাদক একেএম সামচ্ছুল হক,পৌর বিএনপি'র আহবায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার ও জামায়াত ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলা মজলিসের সূরা সদস্য এবং জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সেক্রেটারী মাওলানা মোশাররফ হোসেন৷এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
এ সময় নামাজে আগত মুসল্লি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঈদুল আযহার নামাজ শেষে সকলের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন তারা ।
সানজানা
