
ছবি: জনকণ্ঠ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট হয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের অজস্র মানুষ। আজ শুক্রবার ভোর থেকে উভয় ঘাট এলাকায় যানবাহন ও ঘরমুখো যাত্রীর বাড়তি চাপ পড়ে। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা। ঘাট এলাকা ছেড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন গড়ায় মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে। যানজটে নাকাল হয়ে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া ও আরিচা–কাজিরহাট নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর তুলনায় লঞ্চ ও ফেরির সংখ্যা কম থাকায় শেষ মুহূর্তে ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
ফেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পদ্মা-যমুনায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে স্বাভাবিক ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। উভয় রুটে স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলাচলে অতিরিক্ত সময় লাগায় কমেছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও।
তারা আরও জানান, ঈদ উপলক্ষে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে পাটুরিয়া রুটে ১৭টি এবং আরিচা রুটে ৬টি ফেরি নিরলসভাবে চলাচল করছে। স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলাচল করায় নদী পার হতে যানবাহন ও যাত্রীদের ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে উভয় ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, আরিচা–কাজিরহাট রুটে দ্রুত যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত স্পিডবোট শুক্রবার দুপুর থেকে আবারও বন্ধ রেখেছে মালিক কর্তৃপক্ষ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ভাড়ায় লোকসানের মুখে পড়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এতে ঘরমুখো যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট থেকে ঢাকামুখী সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। যাত্রীবাহী যানবাহনের সাথে কোরবানির পশুবাহী ফিরতি ট্রাকও যুক্ত হওয়ায় যানজট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো সাধারণ মানুষ।
এম.কে.