ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কাউনিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

মঞ্জুরুল আহসান শামীম, কাউনিয়া, রংপুর

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ২১:০৭, ৫ জুন ২০২৫

কাউনিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

ছ‌বি: জনকণ্ঠ

আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে কাউনিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। কোরবানিকে সামনে রেখে উপজেলায় প্রস্তুত রয়েছে ২৫ হাজার ৬৪২টি গবাদিপশু। স্থানীয় খামারগুলোতে প্রস্তুত করা এসব পশু এলাকার চাহিদা মিটিয়েও প্রায় ৮ হাজার ৪০৩টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

কোরবানির ঈদ নিকটে আসায় পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় বাড়ছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। তাই এ বছরও কোরবানিকে কেন্দ্র করে দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গো-খাদ্যের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম এখনও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। এ বছর মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার না করে নিরাপদ উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করেছেন কাউনিয়ার খামারিরা। তবে লালন-পালনের খরচ আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় দাম চড়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় গরু কম আসায় তারা বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। উপজেলার টেপামধুপুর ও কাউনিয়া তকিপুল হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন পাইকার, বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকগণ। দেশি ও উন্নত জাতের গরুতে বাজার ভরে গেছে।

বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ছোট গরুর দাম ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। উপজেলার বাইরে বিশেষ করে ফেনী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী থেকে বেশ কিছু পাইকার এসেছেন পশু কিনতে। প্রখর রোদ ও বৃষ্টির মাঝেই হাটে চলছে পশু বেচাকেনা। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কোরবানির হাট।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ছোট-বড় ৩,২৭৩ খামারির খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে ষাঁড় ৬,৬৩১টি, বলদ ২,০২৬টি, গাভী ২,০৮২টি, মহিষ ১০৮টি, ছাগল ১৩,৯৪৫টি, ভেড়া ৮৪২টি এবং অন্যান্য ৮টি— মোট ২৫,৬৪২টি পশু। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও অনেক পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ আর এম আল মামুন বলেন, “কাউনিয়া উপজেলায় ২৫ হাজার ৬৪২টি পশু মজুত রয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা অসুস্থ পশু চিহ্নিতকরণ, হাটে হঠাৎ অসুস্থ পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা, গর্ভ পরীক্ষা, লিফলেট বিতরণসহ গবাদিপশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন। আশা করছি খামারিরা তাদের পশুর ভালো দাম পাবেন।”

কাউনিয়া তকিপুল হাটের ইজারাদার মো. সফিকুল আলম (সফি) বলেন, “হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি হাট কমিটির পক্ষ থেকেও কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

এম.কে.

×