
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বান্দরবানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শেষ মুহূর্তে বাজারগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে চমকপ্রদ বিষয় হলো—এবার খামারির মোটাতাজা গরুর চেয়ে পাহাড়ের গৃহপালিত গরুর চাহিদা বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজারমাঠ, কালাঘাটা, বালাঘাটা এবং চেমীরমুখ সাঙ্গু নদীর পাড়জুড়ে বসেছে বড়সড় পশুর হাট। এসব হাটে জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলার পাহাড়ী ও বাঙালি গ্রামগুলো থেকে আনা হয়েছে শত শত গৃহপালিত গরু ও ছাগল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ি গরুর আকার তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও স্বাস্থ্য ভালো ও রোগমুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। অধিকাংশ ক্রেতাই কোরবানির জন্য গৃহপালিত গরু কিনছেন। ছাগলের তুলনায় গরুর বেচাবিক্রিই বেশি চোখে পড়ছে। এছাড়া হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল নজরকাড়া।
দাম কিছুটা সহনশীল, তবে বিক্রেতারা হতাশ
কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, এবার বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের গরু রয়েছে এবং অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম। এ কারণে অনেকেই শেষ সময়ে হাটে ভিড় করছেন।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, হাটে পশু থাকলেও ক্রেতা কম। কুহালং এলাকার গরু বিক্রেতা নুরুল আলম ও সোনা মিয়া বলেন, “এবারের হাটে আশানুরূপ বেচাবিক্রি হয়নি। অনেক গরু কম দামে বিক্রি করে দিতে হয়েছে।”
বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার জানান, জেলার সব কোরবানি পশুর হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকের বুথ স্থাপন করা হয়েছে এবং চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
নুসরাত