
ছবিঃ সংগৃহীত
রাঙামাটিতে কোরবানি পশুর হাট শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট হলো শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনাল হাট।বৃহস্পতিবার বিকালে এই হাটে ত্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
এবার গরু ছাগলের হাসিলের তালিকা টাঙগিয়ে দেয়ার কারণে ক্রেতাদের সঙ্গে ইজারাদারদের কোন ঝামেলা হয়নি। এই হাটে গরু আসে কাপ্তাই হ্রদে দিয়ে বোটে করে।হাটের নিচে কাপ্তাই হ্রদের ঘাটে বোট ভিড়তেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারীরা গরুর দরদাম করে নিয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম সহ আশেপাশের জেলায় পাহাড়ি গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে।তাই ব্যাপারীরা পাহাড়ি গরুর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কোরবান উপলক্ষে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাক পাহাড়ি গরু বিভিন্ন জেলায় নেওয়া হচ্ছে বলে ইজারাদারা জানিয়েছেন,গত কয়েকদিনে বৈরী আবহাওয়াতেও মানুষ গরু ক্রয় করতে পারেনি। বিধায় বৃহস্পতিবার গরু কিনতে হাটে ভিড় করেছে ক্রেতারা ।
সুবলং বাজার থেকে গরু নিয়ে আসা খামারী ধনন জয় চাকমা বলেন, এখানে যেসব গরু আনা হয়, তারমধ্যে দেশিভাগ পাহাড়ি গরু। এর চাহিদা বেশি। আমরা এই গরুগুলো পাহাড়ে চড়িয়ে বড় করি। এদেরকে কোনও ধরণের কৃত্রিম ঔষুধ বা মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় না। তাই এই গরুগুলো প্রাকৃতিকভাবে বড় হওয়ায় এদের মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয়।
গরু ব্যাপারী রমজান বলেন, আমি এখান থেকে গরু কিনে নিয়ে গিয়ে চট্টগ্রামে বিক্রি করি। আমাদের ওদিকে পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশি। কারণ এই গরুগুলোতে কোন চর্বি হয় না এবংইনজেকশনও দেয়া হয় না।
পৌর ট্রাক টার্মিনাল হাটে গরু কিনতে আসা হায়দার আলী বলেন, এই বছর গরুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। খুব বেশিও না আবার তেমন কমও না। গতবছরের চেয়ে একটু কম মনে হচ্ছে।বিক্রেতা ছাবিবর বলেন, আমি মোট ৫টা দেশি গরু এনেছি, ৪টা বিক্রি হয়ে গেছে, আর একটা আছে। এটাও বিক্রি হরেয় যাবে।
রাঙামাটি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তুষার কান্তি চাকমা বলেন, আসন্ন কোরবানিতে রাঙ্গামাটিতে ১৯টি হাটের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা হচ্ছে। এবছর জেলায় পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৬০টি। এর বিপরীতে বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তি উদ্যোগে কোররানির পশু প্রস্তুত আছে ৬২ হাজার ৮৮৩টি। গরুর কোন সংকট হবেনা বলে ধরণা করা হচ্ছে।
আলীম