
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের দৌলতেরকান্দি গ্রামে দিনে দিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে হাতিমোটা ষাঁড় ‘রাজাবাবু’। বয়স তার ২৪ মাস, ওজন ২৬ মণ, লম্বায় ৯ ফুট ৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতায় ৬ ফুট। রাজাবাবুর খাবারের তালিকায় রয়েছে আপেল, কমলা, তরমুজসহ নানা ধরনের ফল।
গরুটির মালিক জানান, প্রায় ৮ বছর ধরে তিনি প্রতিবছর কোরবানির ঈদের জন্য ৫ থেকে ৬টি গরু লালন-পালন করে আসছেন। চার বছর আগে শখ করে ঢাকার গাবতলী হাট থেকে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি বকনা গরুর বাচ্চা কিনে আনেন। সেটিকে বড় করে তোলার পর বাড়িতেই জন্ম নেয় ‘রাজাবাবু’। এখন রাজাবাবুর বয়স ২৪ মাস হলেও তার ওজন দাঁড়িয়েছে ২৬ মণ। প্রতি মাসে এক মণের বেশি ওজন বাড়ছে গরুটির।
রাজাবাবুর দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন আব্দুল আউয়ালের মা ফিরোজা বেগম। আউয়াল বলেন, “মাত্র ২৪ মাস বয়স রাজাবাবুর। আমার মা শখ করে তার নাম রেখেছেন। স্নেহ, আদর আর ভালোবাসায় রাজাবাবুকে আমরা যত্ন করে লালন-পালন করেছি। বিক্রি করতে কষ্ট হবে, কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের কাছে তাকে রাখার মতো নিরাপদ জায়গা নেই।”
তিনি আরও জানান, কোরবানির হাটে তোলার আগেই যদি বাড়ি থেকে বিক্রি করা যায়, তাহলে কিছুটা কষ্ট কমবে। কারণ, প্রতিদিন গরুটির পেছনে প্রচুর খরচ হয়। গরম বেশি পড়লে দিনে দুই-তিনবার গোসল করাতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। এমনকি প্রতিরাতে কেউ না কেউ জেগে থাকে গরুটির দেখাশোনার জন্য। এ গরুটির দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন রাজাবাবুকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছেন। বিশাল দেহের কারণে রাজাবাবুকে হাটে তুলতে চান না মালিক; তাই গরুটিকে বাড়িতেই বিক্রি করতে চান।
স্থানীয় একজন বলেন, “আমার ধারণা, এবারের ঈদুল আজহায় রাজাবাবুই হবে কুমিল্লার সবচেয়ে বড় কোরবানির গরু। এর দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এত বিশালদেহী গরু আমাদের গ্রামে থাকায় অন্য খামারিরাও গরু মোটাতাজা করণে উৎসাহ পাচ্ছেন।”
সজিব