
ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জনবহুল এবং পরিচিত স্থান নিরালা মোড়। ভিক্টোরিয়া রোড,মেইন রোড এবং জেলাসদর রোডের সংযোগস্থলের তেমাথাই হচ্ছে নিরালা মোড়।
মোড় সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে যে ভবনটি নির্মাণ করা হয় তার নাম ছিলো " কেশব মঞ্জিল ",যা ঘ্যাগের দালান হিসেবে পরিচিত ছিল। দোতলা বিশিষ্ট ভবনের নীচতলার উত্তর পাশের অংশে ছিলো "পাকিস্তান লাইব্রেরি " নামে বইয়ের দোকান। দক্ষিণের অংশে ভবনের মালিক ডা. বাহাদুর সেন এর হোমিওপ্যাথিক ঔষধের দোকান,তিনি ঘ্যাগের চিকিৎসা করতেন ফলে ভবনের নাম হয়ে যায় "ঘ্যাগের দালান"।
৫০ দশকের একেবারে গোড়ায় লাইব্রেরি উঠে গেলে এই কক্ষেই চালু করা হয় "নিরালা" রেস্টুরেন্ট,রেস্টুরেন্টের মালিক ছিলেন পানু নাগ। শহরের বিশিষ্টজনেরাই ছিলেন এই রেস্টুরেন্টের নিয়মিত কাস্টমার। নিরালায় কেবল চা-ই বিক্রি হতো না,পাওয়া যেত উৎকৃষ্টমানের সন্দেশ,রসকদম্ব,লেডিকেনি আর নিমকি। সেসময় ছোটদের রেস্টুরেন্টে বসা বারণ ছিলো।
ছিমছাম পরিপাটি পানু নাগ শুধু একজন ব্যবসায়ীই ছিলেন না,ছিলেন ভালো ক্রিকেটার এবং ভালো অভিনেতাও বটে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন চালু ছিলো রেস্তোরাঁটি। পানু নাগের এই "নিরালা" থেকেই আজকের আমাদের ঐতিহাসিক "নিরালা মোড়"!
ফারুক