
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটী ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে মেসার্স যমুনা ব্রিকস ফিল্ড নামের একটি ইটভাটার নির্গত গরম গ্যাসে ৭০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। ফসলের ক্ষতি হওয়া সেই ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ জন কৃষক পেলেন ক্ষতিপূরণ। ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৭৮ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (১ জুন) সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি দপ্তরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। সোমবার (২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
ইটভাটার গরম গ্যাস ও কালো ধোঁয়ার প্রভাবে উপজেলার হরগজ এলাকার ৭০ বিঘা জমির ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ভুক্তভোগী কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিও পালন করেন।
পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২০ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হোসেন এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মেসার্স যমুনা ব্রিকস ফিল্ডকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় ইটভাটার সকল কার্যক্রম এবং বিচ্ছিন্ন করা হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঠিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন ইট ভাটার মালিক পক্ষকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পেলেন তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা।
ইটভাটা মালিকপক্ষের প্রতিনিধি আবুল কালাম জানান, রোববার ( ১ জুন) নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত ৩৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ক্ষতিপূরণ বাবদ নগদ অর্থ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও ইকবাল হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলার প্রশাসন কৃষকের পাশে সবসময় আছে এবং থাকবে বলেও জানান তিনি ।
সাটুরিয়ার এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ও গণমাধ্যমের প্রচেষ্টায় কৃষকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রাজু