
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক নারীর ব্যক্তিগত ও আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে হাসান খন্দকার (৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হাসান উপজেলার নিহালপুর এলাকার মৃত ইয়ার আলী খন্দকারের ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ আজ সোমবার ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার ডাক্তারখানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমন চক্রবর্তী জানান, “ভুক্তভোগী নারীর চাচাতো ভাই হাসান খন্দকার তাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হুমকি দিয়ে বলে, তার আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে যদি ১০ লাখ টাকা না দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সে আরও কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।”
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ‘তানজিলা খন্দকার শম্পা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে হাসান খন্দকার ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। টাকা না দিলে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দেয় সে।
গত ১৯ মে হাসান ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানালে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
হাসানের পরিচিত কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “হাসান একজন মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই মাতাল অবস্থায় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৭-৮টি চেক ডিজঅনার মামলাও রয়েছে। এলাকার সম্মানিত মানুষদের নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে সে।”
তারা আরও জানান, হাসানের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তারা দ্রুত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
মিমিয়া