
কুষ্টিয়াসহ আশপাশের চার জেলার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী কার্যক্রম শুরু করেছে কুষ্টিয়া পৌরসভা ও প্রিজম বাংলাদেশ। জাপান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় সোমবার (২ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পালপাড়া এলাকায়।
উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের ফার্স্ট সেক্রেটারি কারাসাওয়া শিনজো এবং কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ করে নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হবে।
জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, “সারাদেশেই মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে কুষ্টিয়া পৌরসভা ও প্রিজম বাংলাদেশের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। শুধু কুষ্টিয়াই নয়, আশপাশের জেলাগুলোর বর্জ্যও এখানে এনে প্রক্রিয়াজাত করা হবে। কিছু বর্জ্য পুনঃব্যবহারযোগ্য করা হবে, আবার কিছু সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।”
জানা যায়, ২০২২ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ১৫ বছরের জন্য প্রকল্পটির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ প্রশাসনিক জটিলতা শেষে অবশেষে প্রকল্পটি চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা।
তারা জানান, এতদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হতো। এখন এই প্রকল্পের আওতায় তাদের প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার পথ সুগম হলো।
পালপাড়ায় প্লান্ট উদ্বোধনের পর কুষ্টিয়া শহরের একটি থ্রি-স্টার হোটেলে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন কারাসাওয়া শিনজো। তিনি বলেন, “জাপান মেট্রোরেল, সমুদ্রবন্দরসহ বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, “এ উদ্যোগের মাধ্যমে একটি পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি আমরা। তবে এখানেই শেষ নয়, নগরবাসীর সহযোগিতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরাফাত জামান তপন বলেন, “মেডিকেল বর্জ্য নিয়ে আমরা অনেকদিন যাবৎ নানা জটিলতায় ভুগেছি। এই প্রকল্প আমাদের সেই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেবে।”
মিমিয়া