ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শহীদের রক্ত এখনও শুকায়নি, জনগণের অধিকার ও খুনি হা‌সিনার বিচার চাই: ড. কামাল

সোহাইল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ২ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:১৭, ২ জুন ২০২৫

শহীদের রক্ত এখনও শুকায়নি, জনগণের অধিকার ও খুনি হা‌সিনার বিচার চাই: ড. কামাল

ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) উপ‌জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কৃষিবিদ ড. মো. সাইদুজ্জামান কামালের নিজ বা‌ড়ি‌তে এ দোয়া মাহ‌ফিলের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক ভি‌পি আব্দুল মান্না‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে প্রধান অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকসু)'র সাবেক ভিপি ও জাতিসংঘের প্রাক্তন কর্মকর্তা, কৃষিবিদ ড. মো. সাইদুজ্জামান কামাল।

এতে প্রধান বক্তা হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন উপজেলা বিএনপির সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক ম ম ইলিয়াস। বি‌শেষ অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন সা‌বেক পৌর বিএনপির সভাপ‌তি মো. মতিউর রহমান জালু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি মো. আমিরুল ইসলাম সাজ্জাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মো. জালাল উদ্দিন বাদল। 

“শহীদের রক্ত এখনও শুকায়নি। আমরা শুধু একজন শহীদ রাষ্ট্রপতিকে স্মরণ করছি না— স্মরণ করছি এক সাহসী বিপ্লবী আদর্শকে। শহীদ জিয়াউর রহমান এই দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জাতীয় মর্যাদার প্রতীক। তিনি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে লিখে গেছেন— ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র’। সেই পথ বেয়ে যারা ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সময় শহীদ হয়েছেন, তারাও ইতিহাসের গর্বিত সন্তান। এই বাংলার মাটি আর পতাকা তাঁদের রক্তে রঞ্জিত—এটাই আমাদের অহংকার।”

“আমি এই জনপদের একজন সন্তান হিসেবে আজ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি— এই জনপদের মানুষের অধিকার, মর্যাদা, শিক্ষা ও উন্নয়নের জন্য জীবনভর লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না এই জাতি। বাংলার মাটিতে অন্যায়ের ঠাঁই নেই— থাকবেও না।”

বক্তারা আরও বলেন,“এই দেশকে কলুষিত করেছে কিছু পিশাচ ঘাতক, যারা রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অস্ত্র বানিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আমরা শুধু বিচার চাই না— আমরা দাবি করি। এই ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বাংলার জনগণের সামনে ফাঁসির দাবি জানাই। বিচার যেন হয় দৃষ্টান্তমূলক— যাতে ভবিষ্যতের কোনো স্বৈরাচার এমন নৃশংসতা ঘটাতে সাহস না পায়।”

ড. কামাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাঞ্ছারামপুরে ক্যাপ্টেন তাজ ও জনির নির্দেশে নয়নকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই বর্বরতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাজসহ যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে জনতার সামনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। আমরা আর সহ্য করবো না— এবার জবাব চাই। শহীদের রক্তের শপথ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।”

এছাড়াও আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন, জিসান সরকার, মো.ওমর ফারুক, মো. ইব্রা‌হিম সরকার, ম‌নিরুল হাসান আব্দুল্লাহ, জা‌হিদুল ইসলাম ফাহাদ, মো. রিপন মিয়া, রহমাত উল্লাহ, হাসান সরকার, আওলাদ হো‌সেন, ম‌নিরুল ইসলাম, মো. জামাল, ইমান আলী, এমএ সালাম, মো. সালাউদ্দিন, মুছা হায়দার, মো. মামুন, জা‌হিদুল ইসলাম লিটন, ম‌তিউর রহমান সবুজ, মো. জয়নাল, সামাদ মেম্বার, মো. সাইফুল, মো. বাবুল, আল আমিন, মো. রু‌বেল, আসাদুজ্জাম সিকদার, মো. মুজা‌ম্মেল হক, আব্দুল জ‌লিল, আব্দুল ক‌রিম, আবুল হক, ইকবাল মিয়া, মো. ক‌বির হো‌সেন, মো. রুমান, ত‌রিকুল ইসলাম বাবু, জাবেদ, মো. সা‌লে মুছা, মো. জু‌য়েল র‌ানা, মো. সিফাত, মো. কাইয়ুম, মজনু সরকার, সি‌দ্দিকুর রহমান, মো. র‌ফিকুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান মো. ম‌মিনুল হক, আবু রা‌সেল কালা চান, ‌মো. দে‌লোওয়ার হো‌সেন, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

ইমরান

আরো পড়ুন  

×