
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতা। সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনার পর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তারা রবিবার (১ জুন) রাতে বাউফল থানায় জিডি করেন । ওই সময় তাদেরকে জিডির কপি দেয়া না হলেও তাদের আবেদনের একটি রিসিভ কপি দেয়া হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পর এখন পর্যন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ হলেন, সাহনাজ, আয়েশাতুন্নেছা, সিয়াম আহমেদ ও শুভ চন্দ্র শীল।
অপর দিকে এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের কেন্দ্রীয় কমিটি । তাদের ভেরিফাই ফেসবুকে ঘটনার পরপরই এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে তারা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তারা হামলাকারীদের সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।
এই বিবৃতির সাথে দৈনিক জনকণ্ঠের অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ফটোকার্ড সংযুক্ত করে দেন।
উল্লেখ, বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেলের সাথে একটি অনুষ্ঠানে ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে এবং তার অপসারণের দাবিতে রবিবার বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের ভিতরে সংবাদ সম্মেলন আহবান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও’র লেলিয়ে দেয়া ছাত্র দল,নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ ইউএনও’র অস্ত্রধারী দেহরক্ষীসহ ২৫-৩০ জন আনসার সদস্য সংবাদ সম্মেলটি পণ্ড করে দেয়।
একপর্যায়ে তারা দুই নারী নেত্রীসহ ৪ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাকে লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনা দেশের প্রায় সবকটি জাতীয় দৈনিক ও বেসরকালী টেলিভিশনে প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান বলেন, আমরা গত রাতেই পুলিশ নিরাপত্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ নেতৃবৃন্দকে তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি। তাদের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
রিফাত