ছবিঃ সংগৃহীত
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পবিত্রতা রক্ষা, মহানগর এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা, জনস্বার্থ, জনশৃঙ্খলা এবং জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।
রবিবার বিকেলে মহানগর পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন-১৯৯২ এর বিভিন্ন ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৪ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থান, উন্মুক্ত স্থান বা ছাদে গান-বাজনা, বাদ্যযন্ত্র, ডিজে পার্টি এবং উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো যাবে না।
এ সময় আতশবাজি, ফানুস, পটকা ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী মহানগর এলাকায় হিংসাত্মকভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞা আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরএমপির ৮ নির্দেশনা ॥
এদিকে, পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগরীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে আরএমপি। ঈদের উৎসবকে আনন্দময় এবং সকলের জন্য নিরাপদ করতে নগরবাসীর সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।
এসব নির্দেশনাগুলো হলো—
১. কোরবানির পশুবাহী গাড়িগুলো নির্দিষ্ট স্থানে লোড ও আনলোড করতে হবে।
২. পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে সাবধান থাকতে হবে।
৩. কোরবানির পশু পরিবহণ ও পশুর হাটে চাঁদাবাজির বিষয়ে তথ্য থাকলে নিকটস্থ পুলিশকে অবগত করতে হবে।
৪. নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করতে হবে এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করতে হবে।
৫. বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে নিরাপত্তা রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে।
৬. বাসা বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করতে হবে।
৭. বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৮. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মারিয়া
