উজানের ঢলে পানি বেড়েছে তিস্তায়

উজানে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাংলাদেশের অংশের তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে  তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২.১৫) ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে রবিবার পানি কিছু নেমে বেলা ৩টায় বিপৎসীমার দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার (৫১.৮০) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে  ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কমলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বাড়ছে।  তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখায় উজানের পানি ভাটিতে ধাবিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সূত্রমতে, তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছিল ১২০ সেন্টিমিটার। বর্তমানে সেখানে পানি কমতে শুরু করেছে। একই সময়ে দো-মহনী পয়েন্টে পানি বেড়েছিল ৬১ সেন্টিমিটার। রাত ৯টায় এ পয়েন্টে পানি সমতল ছিল ৮৫ দশমিক ৬৩ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকার ডালিয়া পয়েন্টে ৫৫ মিলিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি একই লেভেলে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, উজানের ঢলের রেশ রয়েছে। কারণ সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় পানি কমলেও দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টায় পানির লেভেল এই গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। 
অপরদিকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টের পানি পরিমাপক আকতারুল আলম জানান, কাউনিয়া পয়েন্টে  তিস্তার পানি বেড়েই চলেছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৯.৩১ সেন্টিমিটার। সেখানে সকাল ৬টায় ২৮.১৭ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় দুই সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.১৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২টায় ২৮.৭২ এবং বেলা ৩টায় ২৮.৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সকাল থেকে ওই পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৬০ সেন্টিমিটার। এতে কাউনিয়া এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। 
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। শনিবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেলেও রবিবার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। তবে তিস্তার ডালিয়ার ভাটির দিকে যে পানি যাচ্ছে তাতে ওই দিকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া উজানের ঢল পুনরায় নেমে এলে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।