
ছবি: জনকণ্ঠ
সম্প্রতি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দরবেশতলা ও হালচাটি এলাকার গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির দল আক্রমণ চালিয়ে ৫টি বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে।
১ জুন রবিবার দুপুরে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল।
ওই সময় দরবেশতলা এলাকার শ্রমিক মো. মোস্তফাকে ঘরবাড়ি সংস্কারের জন্য ২ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৫ হাজার টাকা এবং আব্দুল জলিলকে ১ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি। এছাড়া হালচাটি এলাকায় বন্য হাতি তাড়াতে টর্চলাইট বিতরণ করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, কাংশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাম্মেল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মাসুম বিল্লাহসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, “গত এক মাসের বেশি সময় ধরে সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। এসব খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পরে তাঁর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। সাধ্যমতো আমরা সবাই পাশে আছি, আগামী দিনেও পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।”
মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
এম.কে.