
ভারি বৃষ্টিতে নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় জেলা শহর মাইজদী এবং পাশ্ববর্তী উপজেলা সমূহের অনেক ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শহরের হাউজিং এষ্ট্রেট, মাস্টার পাড়া, খন্দকার পাড়া, লক্ষীনারায়পুর, মধুসূদনপুর, গুপ্তাঙ্গসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় পানি উঠে গেছে।
শুক্রবারে সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা কারাগার সড়ক, জজকোর্ট—কোর্টবিল্ডিং সংযোগ সড়ক, মাইজদী পাবলিক কলেজ সড়ক, আল ফারুক একাডেমি সড়ক, নোয়াখালী সায়েন্স এন্ড কমার্স কলেজের সামনের সড়ক, মধুসূদনপুর সড়কসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যার কারণে এসব সড়কে যানবাহন চালক ও পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়া মাইজদী পৌর বাজার, মাইজদী বাজার, দত্তেরহাট বাজার, সোনাপুরসহ নোয়াখালীর পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে এবং পাশ্ববর্তী উপজেলাসমূহের বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।
নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোতে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পানি নামতে না পারায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
নোয়াখালী পৌর শহরের নাইস গেস্ট হাউসের স্বত্বাধিকারী মো. শওকত আলী বলেন, জলাবদ্ধতা নোয়াখালী শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। চারপাশের তুলনায় শহরটা নীচু হওয়ার কারণে ভারি বৃষ্টি হলে পানি নামতে পারেনা। এতে দেখা দেয় চরম জনদুর্ভোগ। এ সংকট মোকাবিলায় শহরের ওপর নিয়ে যাওয়া ছাগলমারা খাল, বকশি খাল, ইসলামিয়া খালসহ উত্তরে বেগমগঞ্জের গাবুয়া থেকে দক্ষিণে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আশপাশের সবগুলো সংযোগ খাল দখলমুক্ত করে পরিকল্পিতভাবে খনন করতে হবে। সেই সাথে নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো পরিকল্পিতভাবে পানি নামার উপযোগী করে তুলতে হবে। এ জন্য স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা সভা করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
মাইজদী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা নিবির আহমেদ বলেন, হাউজিংয়ের প্রতিটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া হাউজিং বালুর মাঠসহ সবগুলো বাসাবাড়ির সামনে পানি জমে আছে।
দ্রুত ড্রেন ও খালগুলো পরিষ্কার করা না হলে সহজে পানি নামবে না বলে জানান তিনি।
রাজু