
ময়মনসিংহে ব্রিজ ধসে দুই পাড়ের ৩০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মুক্তাগাছায় আইমন নদী খননের ফলে পানি-প্রবাহ বৃদ্ধি বেশি পাওয়ায় ভেঙে গেছে ব্রিজ । এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৫টি গ্রামের মানুষ।
টানা বর্ষণে দুই পাশের মাটি সরে শুক্রবারে ব্রিজটি পাকা সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেঙে পড়ে। এতে মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ১৫টি গ্রামের ত্রিশ হাজার মানুষের।
স্থানীয় এলাকার লোকমান মিয়া জানান, আইমন নদী খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। দীর্ঘ দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে তাই নদীতে প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অনেক বেশি পাওয়ায় খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা গ্রামে একটি সেতুর দুপাশ থেকে মাটি সরে যেতে শুরু করে। একপর্যায়ে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা যায়, দুই হাজার ১ সালে ১০ মিটার দীর্ঘ ও ১২ ফুট প্রস্থের বক্স ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। এসব বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন (বোর্ড) নদীটি খনন করেছে। খননের ফলে বক্স ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। সে কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খনন কাজ শুরু করলেও ব্রিজ রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ। ফলে সেতুর গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানির প্রবল স্রোতে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হোসেন বলেন, ‘অপরিকল্পিত নদী খননের কারণেই ব্রিজটি ধসে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, রামভদ্রপুর, বানিয়াকাজী, শিবপুর, কবীরপুর, ইটচকিসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়ায় গ্রামগুলোর মানুষ মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এসব বিষয়ে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে জেনেছি। টানা বৃষ্টির কারণে এখনো সরেজমিনে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে এলে পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজু