ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান নিশ্চিহ্নের আশঙ্কা, লন্ডভন্ড ঝাউ বাগান

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:৪০, ৩০ মে ২০২৫

কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান নিশ্চিহ্নের আশঙ্কা, লন্ডভন্ড ঝাউ বাগান

কুয়াকাটায় জাতীয় উদ্যানের গেটসহ যতটুকু অবকাঠামো ছিল, তাও লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এখন নিশ্চিহ্নের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক বছর আগে উদ্যানের বনাঞ্চলসহ দুই তৃতীয়াংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি যা ছিল, তাও বৃহস্পতিবারের জলোচ্ছ্বাসের দুই দফা তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গেট, দেয়াল, অবকাঠামো সব বিধ্বস্ত হয়ে এখন কঙ্কালের মতো ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। ঝাউবাগানসহ শত শত গাছপালা উপড়ে লাশের মতো পড়ে আছে। স্থানীয়রা এগুলো নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে জাতীয় উদ্যান যেন শুধু নামেই আছে; বাস্তবে কিছুই নেই বললেই চলে। শুধু একটি ভবন রয়েছে।

বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জের অধীন গঙ্গামতি, কুয়াকাটা ও খাজুরা ক্যাম্পের ১৬১৩ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমিতে উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং পর্যটন সুবিধা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এর পর উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে যায়। উল্টো ইকোপার্কসহ বনাঞ্চল ও অবকাঠামো দুই তৃতীয়াংশ সাগরে বিলীন হয়ে যায়। হাজারো একর বনভূমি সাগর গিলে খেয়েছে।স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় এখন আর বনভূমি বা সংরক্ষিত বনাঞ্চল নেই। ২০ বছর আগেও বন ছিল গহীন, যেখানে কেউ একা ঢুকত না। কিন্তু এখন সব উজাড় হয়ে গেছে। বন ধ্বংসে বনখেকো, বনপ্রজা ও বনবিভাগের কর্মীরা জোট বেধে কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক জায়গায় বন উজাড় করে বাড়িঘর হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। কথিত বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে কেউ কেউ দখল নিয়েছে। অবশেষে জাতীয় উদ্যানের অবকাঠামো জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়ে ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এখন পর্যটকরা ধ্বংসস্তুপ দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন।

রাজু

×