
ছবিঃ জনকণ্ঠ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনের রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে গত ২৮ মে (বুধবার) উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় গত দুই দিন বিরামহীন বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার বয়ে যাওয়ার কারণে বুধবার গভীর রাত থেকেই উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই গত দুই দিন ধরে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে আসে।
এই এলাকায় বৃষ্টি বন্যা বন্ধ হলেও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে ঢাকার অবস্থান করার কারণে গত দুই দিনে ধরে এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এই অচলাবস্থার ফলে বৃহত্তম এই উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ৬ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ, অনেক হাসপাতাল ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।
বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ থাকার বিষয় জানতে চেয়ে বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোজাহারুল ইসলামকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, অফিসে বর্তমানে আমরা পাঁচজন কর্মরত রয়েছি। অন্য সবাই আন্দোলনে ঢাকায় অবস্থান করতেছে। জনবল সংকট থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সার্ভিস চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলেন, বৃষ্টিপাত দুই দিন আগে বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সার্ভিস চালু হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এই উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। বিদ্যুৎ সার্ভিস দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু না হলে এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে।
এদিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সরকারের প্রতি দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়ে আহ্বান জানিয়েছেন।
আলীম