
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ঢাকার নবাবগঞ্জে কাদিয়ানি গোষ্ঠি অনুসারীদের দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সামবেশ করেছে আলেম সমাজ।
শুক্রবার (৩০মে) বেলা ১২টায় উপজেলার গালিমপুর সূর্যখালী ঈদগাহ মাঠে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগষ্ট বিশ্বশান্তি আহ্বায়ক বাংলাদেশের দরবার শরীফে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়। সেই মামলা হেফাজতসহ খতমে নবুয়্যতের নেতাদের আসামী করা হয়।
ইসলামপন্থী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে কয়েক হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা কাদিয়ানী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এসময় বক্তারা নবাবগঞ্জে কাদিয়ানী অনুসারীদের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’, ‘মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানো’সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মধুপুরের পীর মাওলানা আল্লামা আব্দুল হামীদ বলেন, কাদিয়ানী বরকত উল্লাহর অনুসারীরা বিগত ৪০ বছর যাবৎ ইসলামবিরোধী নবুয়তের দাবির মাধ্যমে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা হুমকির মুখে ফেলছে। তাঁদের এসব কর্মকান্ডে ১৯৯৭ সাল থেকে দোহার নবাবগঞ্জসহ দেশের তৌহিদী জনতা প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। এখন উল্টো তারাই বিভিন্ন ইসলামী আলেম ও তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করছে।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিন খতমে নব্যুয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি নূরুল হক খামেনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিন ইয়ামিন সাহাবি, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তপন মোল্লা প্রমুখ।
এদিকে সমাবেশ থেকে যাতে গালিমপুর রামনাথপুরে বরকত উল্লা খানের বাড়ি ও দরবার শরীফে উসকানিমূলক হামলা ভাংচুর সংঘটিত করতে না পারে সে জন্য ভোর হতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে বরকত উল্লাহ খানের দরবারের পক্ষে বিশ্বশান্তি আহ্বায়ক বাংলাদেশের মহাসচিব প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে একটি গোষ্ঠি মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরী করছে। তাঁরা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত ৫ আগষ্ট বরকত উল্লাহ খানের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর লুটপাট করে। অগ্নিসংযোগ করে একটি মসজিদও পুড়িয়ে দেয়। সে বিষয়ে মামলা হয়েছে। সে দায় থেকে রক্ষা পেতে মিথ্যা তৎপরতা চালাচ্ছে।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সমাবেশ শেষ করেছে। কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
আলীম