
দৈনিক জনকণ্ঠ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের খেজুরা ভরপাশা গ্রামে খেজুরা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ সেতুটির মাঝখানে সিমেন্টের প্লাস্টার খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। সেতুটির লোহার ক্রস অ্যাঙ্গেল গুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে পড়েছে।
সেতুটি একদিকে কাত হয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। খেজুরা ভরপাশা গ্রামের হাজারো মানুষ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিনই চলাচল করেন।
এছাড়াও এই সেতু দিয়ে খেজুরা ভরপাশা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সেতু। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে শত শত কোমলমতি শিশু ও স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
অনেকে আহত হয়েছে বলেও খবর শোনা গেছে। যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কাও রয়েছে। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতুটির সিমেন্টের ঢালাই প্লাস্টার খসে পড়ায় স্থানীয় লোকজন গাছ ও কাঠের তৈরি পাটাতন বানিয়ে এখন চলাচল করছে।
সেতুটির বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি। এই ভাঙাচোরা সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হাসনাইন আহমেদ বলেন, খেজুরা ভরপাশা সরেজমিনে গিয়ে সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হ্যাপী