
চট্টগ্রামে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। আগের দুই সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিলেন আরও ৯ জন। সবমিলিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে আবারও কোভিড ডেডিকেটেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের একটি হাসপাতালকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কোভিড রোগীদের জন্য।
চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, “জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা পর্যায় থেকে চিকিৎসক এনে এসব ডেডিকেটেড সেন্টারে পোস্টিং দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল মানেই— শুধুমাত্র করোনা রোগীই সেখানে ভর্তি হবেন, অন্য কোনো রোগীর চিকিৎসা সেখানে হবে না।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রবিবার থেকে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হলেও জেনারেল হাসপাতালে এখনো পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে পরীক্ষা ও চিকিৎসার কাজ চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক বলেন, “আমরা ৫০ শয্যার একটি কোভিড ওয়ার্ড চালু করেছি। যেসব রোগীর কোভিডের পাশাপাশি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য আলাদা ডেডিকেটেড ডায়ালাইসিস মেশিনও রাখা হয়েছে। আইসিইউতে কিছু যন্ত্রপাতি ঘাটতি ছিল, যা ঢাকা থেকে আসা একটি টিমের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হচ্ছে।”
এদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে এবার আগের মতো সংকট দেখা দেবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বেশিরভাগ বড় হাসপাতালেই ইতোমধ্যে নিজস্ব অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জানান, “সংক্রমণ যেন আরও না বাড়ে, সেজন্য পর্যাপ্ত কিট সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগের কিছু কিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কিট সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভবিষ্যতে তা জটিল হতে পারে। তাই নাগরিকদের সতর্ক থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
নুসরাত