ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভূঞাপুরে চাহিদার চেয়ে ৮ হাজার গরু বেশি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ২৮ মে ২০২৫

ভূঞাপুরে চাহিদার চেয়ে ৮ হাজার গরু বেশি

ছবি: জনকণ্ঠ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে ৮ হাজার গরু বেশি আছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ভূঞাপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২২ হাজার ৩৪৪টি গরু ও অন্যান্য পশু। অথচ উপজেলায় চাহিদা মাত্র ১৩ হাজার ৮৯০টি। ফলে চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ৮ হাজার ৪৯০টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, যা সরবরাহ করা হবে ঢাকা ও আশপাশের জেলায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছর ভূঞাপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫২৮টি গরুর খামার গড়ে উঠেছে। প্রতিটি খামারেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা ব্যয় কিছুটা বেশি হলেও গরু কম রেখেছেন। তবুও চাহিদার চেয়ে পশুর সংখ্যা অনেক বেশি।


স্থানীয় খামারি আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবছর খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে বাহির দেশ থেকে গরু না আসলে এবং ভালো দাম পেলে আমরা লাভবান হতে পারবো। ’

একই কথা বলেন আরেক খামারি রাফি চকদার। তিনি জানান, বাহিরের দেশ থেকে গরু না এলে স্থানীয় খামারিরা ন্যায্য দাম পাবেন।

ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘উপজেলায় প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পশু রয়েছে। আমরা খামারিদের সব ধরনের পরামর্শ ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা নিরাপদ ও লাভজনকভাবে পশু বিক্রি করতে পারেন।’

এদিকে পশুর হাটগুলোতেও বেচাকেনা শুরু হয়েছে। খামারের কর্মচারিরা এখন গরুগুলোর বাড়তি যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ খাতে জড়িত অনেকেই জানান, খামারে কাজ করেই তাঁরা পরিবার চালাচ্ছেন।


এ বছর প্রাণিসম্পদ বিভাগের নজরদারি ও পরামর্শে ভূঞাপুরের খামারগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রাকৃতিক উপায়ে পশু লালন-পালনের হার বেড়েছে। বাজারে এসব দেশি পশু ক্রেতাদের জন্য হতে পারে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প।

সাব্বির

×