
ছবি:সংগৃহীত
দক্ষিণ বাংলার অন্যতম বৃহত্তম কোরবানির পশুর হাট যশোরের সারসার সাতমাইলে ইতোমধ্যেই বেচাকেনা জমে উঠেছে। প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার বসা এই হাটে ভিড় করছেন দেশজুড়ে আগত ক্রেতা ও পাইকাররা। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ছোট, মাঝারি ও বড় আকৃতির হাজার হাজার গরু-মহিষ ও ছাগল।
চলতি মৌসুমে ভারতীয় গরু না আসায় হাটে দেশি ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল ও দেশাল জাতের গরুর আধিক্য দেখা যাচ্ছে। সাতমাইল হাটে ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের গরু পাওয়া যাচ্ছে, তবে ক্রেতাদের আগ্রহ মূলত ছোট ও মাঝারি গরুর দিকেই বেশি।
এক ক্রেতা জানান, “বড় গরুর চেয়ে এবার মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। মানুষ আগের মতো বড় কোরবানির দিকে যাচ্ছে না, কারণ অনেকেই দেশে নেই বা হাতে টাকার অভাব রয়েছে।”
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা ট্রাকে করে গরু কিনে নিচ্ছেন এই হাট থেকে। বিক্রেতাদের দাবি, এবার হাটে পশুর দাম তুলনামূলকভাবে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। অনেকেই ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরু কিনছেন।
সারসা হাটে এবার ১৪ হাজারেরও বেশি কোরবানির পশু তোলা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশুগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে খামারিদের কৃমিনাশক, ভিটামিন ও স্টেরয়েডবিহীন পশু পালনবিষয়ক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
হাট ব্যবস্থাপনায় রয়েছে জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম, যারা নিরাপত্তা ও পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সক্রিয় রয়েছে। পশু চিকিৎসকরাও উপস্থিত থেকে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
এক বিক্রেতা জানান, “বাজারের অবস্থা ভালো। এখন পর্যন্ত ১৭টা গরু বিক্রি করেছি, আরও ছয়টা আছে। দাম মোটামুটি ভালোই পাচ্ছি।”
সার্বিকভাবে হাটের পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র:https://youtu.be/JT8DxhpyUg8?si=XFQsCDVvR01VQqyb
আঁখি