ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভূরুঙ্গামারীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

এফ কে আশিক, ভূরুঙ্গামারী , কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ২৭ মে ২০২৫

ভূরুঙ্গামারীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে জমে উঠেছে সর্ব উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার একমাত্র কোরবানীর পশুর হাট। এবার ঈদুল আযাহাকে কেন্দ্র করে ভূরুঙ্গামারীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও শেষ মুহুর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামারীরা। তবে পশু লালন পালনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় কোরবানীর জন্য ৩১ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। পশুর চাহিদা রয়েছে ২২ হাজার। এর মধ্যে গরু, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। অতিরিক্ত ৭ হাজার পশু দেশের অন্য জেলা উপজেলার চাহিদা পূরনে ভূমিকা রাখবে। 

মঙ্গলবার দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ন হয়ে আছে হাট। হাটে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের প্রচুর গরু বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। দাম স্বাভাবিক থাকায় অনেকেই পছন্দের পশু কিনে বাড়ী ফিরছেন। ভারতীয় গরু না থাকায় বিক্রেতারাও খুশি। সপ্তাহে ২ দিন শনি ও মঙ্গলবার বসে উপজেলার একমাত্র পশুর হাটটি। দুদিনেই গরু, মহিষ, ছাগল , ভেড়া কেনাবেচা হয়। 

এ বছর ভূরুঙ্গামারী হাটে ঈদুল আযাহাকে ঘিরে ৬০ লক্ষ টাকার গরু বেচা কেনা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় ভারতীয় গরু আসার শঙ্কাও করছে তারা। এটি ঠেকানো না গেলে স্থানীয় খামারীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। 

উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের খামারী শাহজামাল বলেন, আজ হাটে ২টি বড় মহিষ এনেছি ৬ লক্ষ টাকা দাম চাচ্ছি। গত হাটে ১টি দামড়া গরু ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। খামারে আরও ৭টি গরু আছে। আশা করি ঈদের আগেই বিক্রি হয়ে যাবে। 

পাথরডুবি ইউনিয়নের মহির ব্যাপারী বলেন, গরুর দাম মানানসই আছে। হাটে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। ৬০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকায় দেশি জাতের গরু পাওয়া যাচ্ছে। 

টাঙ্গাইল থেকে গরু কিনতে আসা আব্দুর রহিম ও স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী বাবু বলেন, এই হাটে গরুর দাম ক্রয় সীমার মধ্যে আছে। তবে এখন বিক্রি তুলনামুলক কম হচ্ছে।
 
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ আশিকুজ্জামান জনকন্ঠকে জানিয়েছেন, হাটে আমাদের ভ্যাটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। বিশেষ করে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত কোন গরু পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া যেন ক্রয় বিক্রয় না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখা হচ্ছে এবং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আসা বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর নজরদারী করছেন। 

হাটের ইজারাদার ফরিদুল হক শাহিন শিকদার জানান, হাটে সার্বিক নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সেজন্য জোর প্রচারনা চালানো হচ্ছে। 

ভূরুঙ্গাামরী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ জানান, আসন্ন ঈদুল আযাহা উপলক্ষে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার একমাত্র পশুর হাটে সকল ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে সার্বক্ষনিক পুলিশি নজরদারী অব্যাহত সহ জাল নোট সনাক্ত করতে পুলিশ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। কোরবানীর পশুর হাটে আগত সকলকে যে কোন প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেয়ার জন্য অনুরোধ রইল। 

সায়মা

×