
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রজন্মজুড়ে ঝুলে থাকা দেওয়ানি মামলার জট কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। দেওয়ানি কার্যবিধিতে (সিভিল প্রসিডিউর কোড, ১৯০৮) গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন আনা হচ্ছে, যার ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমে যাবে এবং বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন—এমনটাই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
এক ভিডিও বক্তব্যে অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সরকার সময়ের চাহিদায় যে সংশোধনী আনছে, তা যুগান্তকারী। এখন আর বাদী-বিবাদীকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির থাকতে হবে না। লিখিত এফিডেভিটই সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে এবং সেখান থেকেই হবে জেরা।’ তিনি জানান, ‘এখন থেকে তিন প্রজন্ম ধরে মামলার বোঝা বইতে হবে না।’
তিনি জানান, সংশোধনী অনুযায়ী, এখন থেকে দেওয়ানি মামলায় বাদী ও বিবাদীর লিখিত আরজি বা জবাব এফিডেভিট আকারে দাখিল করলেই তা সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এতে করে তাদের সাক্ষ্য দিতে দিনের পর দিন আদালতে হাজির থাকতে হবে না। একই সঙ্গে মামলায় একাধিকবার সময় চাওয়ার সুযোগ সীমিত করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রায় কার্যকরের জন্য আলাদা জারি মামলা করতে হবে না, বরং মূল রায়ের মধ্যেই বাস্তবায়নের নির্দেশনা যুক্ত থাকবে। সমন জারি হবে এসএমএস, ভয়েস কল কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল যোগাযোগের মাধ্যমে। এতে মামলার তথ্যপ্রাপ্তি সহজতর হবে। এছাড়া, সংশোধনীতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ঠেকাতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগে এ ধরনের মামলার জন্য সর্বোচ্চ জরিমানা ছিল ২০ হাজার টাকা, এখন তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
এই আইন বিশেষজ্ঞের মতে, সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে দেওয়ানি মামলার জট উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=H77Zt9lVIIs
রাকিব