ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জে চুরি ডাকাতি ছিনতাই চাদাঁবাজি ঠেকাতে হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের লাঠি-বাঁশি মিছিল

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫৫, ২৪ মে ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে চুরি ডাকাতি ছিনতাই চাদাঁবাজি ঠেকাতে হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের লাঠি-বাঁশি মিছিল

নারায়ণগঞ্জে চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই ও চাদাঁবাজি ঠেকাতে লাঠি-বাঁশি মিছিল করেছে হোসিয়ারী ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশন পক্ষে লাঠি-বাঁশি মিছিলটি বের করা হয়। এতে শতাধিক হোসিয়ারী ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি উকিলপাড়া, নয়ামাটি, করিম মার্কেট, কাঠের দোতলাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাচঁ আগষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিরি পর থেকে নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা আতংকের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্রায় প্রতিদিনই নয়ামাটি, করিম মার্কেট, কাঠের দোতলাসহ বিভিন্ন হোসিয়ারী কারখানা ও শো রুমে চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। মাসের শেষের দিকে শ্রমিকরা বেতন নিয়ে বাড়ি যেতে পারছে না। রাস্তায় বের হলেই শ্রমিকদের মারধর ও ছুরিকাঘাত করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারি ও চাদাঁবাজরা। বিষয়টি আইনশৃংখলা রক্ষকারি বাহিনীর সদস্যদের বার বার অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। তাই বাধ্য হয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাদাঁরাজি রোধে ব্যবসায়ীরা লাঠি-বাঁশি নিয়ে মাঠে নেমেছে।

হোসিয়ারী ব্যবসায়ী আব্দুল হাই জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কারণে মফস্বলের ব্যবসায়ীরা আগের মতো পণ্য নিতে নয়ামাটি, করিম মার্কেট, কাঠের দোতালায় আসছে না। যে সব পাইকাররা নারায়ণগঞ্জ পণ্য নিতে আসে তারাও ভয়ের মধ্যে থাকে। যে কারণে আমাদের ব্যবসায় চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।

আরেক ব্যবসায়ী রিপন মিয়া জানান, কিছুদিন আগে রাতের বেলায় আমার দোকানের জানালা কেটে চোরের দল ভেতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্সের তালা ভেঙ্গে নগদ ৩৫ হাজার টাকা  ও মুল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।  তিনি বলেন, শুধু আমার দোকান বা কারখানায় নয় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নয়ামাটিতে দোকান ও শো রুমে চুরি ডাকাতি হচ্ছে। হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নেতারা বেশ কয়েকবার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু চুরি ডাকাতি ছিনতাই থামছেনা বরং দিন দিন এটি বেড়েই চলেছে।

নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান বদু জানান, ছিনতাই চাদাঁবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে হোসিয়ারী ব্যবসায়ীরা। কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজ মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করে মালিক মহাজনের কাজ থেকে জোরর্পুবক চাঁদা আদায় করছে। তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে মার্কেটের প্রতিটি অলিতে গলিতে লাঠি-বাঁশি নিয়ে প্রস্তুুত থাকবে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। কোন চোর, ডাকাত, ছিনতাই বা চাঁদাবাজ মার্কেটে প্রবেশ করলে তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করবে ব্যবসায়ীরা।

আমরা লাঠি-বাঁশি মিছিল করে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বুঝিয়ে দিতে চাই আমরা পারি তোমাদের প্রতিরোধ করতে। কিন্তু আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। তিনি বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনী কাছে বাররার তাগাদা  দিয়েও আমরা ব্যবসায়ীরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না। তাই আজ লাঠি-বাঁশি নিয়ে মাঠে নেমেছে ব্যবসায়ীরা।

 

রাজু

×