
ছবি: জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ২ কিলোমিটার ভাঙ্গা রাস্তার জন্য ১ যুগ ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারী। রাস্তার কোথাও নেই ইট,সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত।উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের লতিফ মাস্টারের বাড়ি হতে পূর্ব দিকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় ৪-৫ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। ঈদের সময় দুর্ভোগের শেষ থাকে না গ্রামবাসীর।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়,গ্রামীণ জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ২০০৭-৮ অর্থ বছরে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এর পরে প্রায় ১২ বছরের অধিক সময় পার হলেও, হয়ইনি রাস্তাটির কোনো ধরনের সংস্কার। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যে ভাগে ইটের চিহ্ন পর্যন্ত নেই এবং দুইটি কালর্ভাটের মধ্যে একটি কালভার্ট ভাঙাচোরা। এমন অবস্থা পায়ে হেঁটে চলাই এখন দায়। স্থানীয়রা রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য কিছু ইট ও মাটি দিয়ে ভরাট করছেন।
সাকির আলম ও রাসেলসহ স্থানীয়রা বলেন, রাস্তাটির মধ্যভাগে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায় চলাচল দায় হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষের। বহুবার স্থানীয় একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে শরণাপন্ন হলেও তারা সড়কটি মেরামত বা সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বৃষ্টির আগে রাস্তাটি মেরামত করা না হলে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে এবং গ্রামবাসীর ভোগান্তি আরো বাড়বে।গাড়ি-ঘোড়া তো দূরের কথা এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলতেই হিমশিম খাচ্ছি।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, আমি ২০০৭-৮ সালে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ইট সলিং রাস্তাটি করা হয়। রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অর্থ বছরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তালিকা পাটিয়েছিলাম কিন্তু হয়নি। রাস্তাটি অনেক বড়। তাই বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদে নতুন বরাদ্দ আসলেই রাস্তাটি মেরামত করা হবে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এখন নতুন কোন প্রকল্প নেই, যা আছে তাও জুনে শেষ হয়ে যাবে। নতুন প্রকল্প এলে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
সাব্বির