ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পঞ্চগড়ে চার বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়।।

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ২৩ মে ২০২৫

পঞ্চগড়ে চার বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

পঞ্চগড়ে চার বছরের একটি শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কার দ্বারা এবং কীভাবে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হলো তা পরিবারের লোকজন পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বেডে অব্যক্ত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি।রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় শিশুটির যৌনাঙ্গের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। শরীরে দেওয়া হচ্ছে রক্ত।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার একটি গ্রামের চার বছর বয়সী কন্যাশিশুটির সঙ্গে আসলে কী ঘটেছে, তা পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না বাবা-মা। তবে ঘটনাটিকে কেউ কেউ ধর্ষণের চেষ্টা হতে পারে বলে ধারণা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হন শিশুটির ভ্যানচালক বাবা। শিশুটির বড় তিন বোন চলে যায় স্কুলে। সকাল ১০টার পর চার বছর বয়সী শিশুটি মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের বাদাম খেতে বাদাম তুলতে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটি একা বাড়িতে ফিরে আসে। দুপুর ১২টার দিকে তাঁদের এক স্বজনের মাধ্যমে শিশুটির মা খবর পান, তাঁর মেয়ের যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত ঝরছে। তিনি বাড়িতে গিয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় শিশুটিকে প্রথমে স্থানীয় একজন পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার বাচ্চার কী কারণে এমন হয়েছে, এখনো বুঝতে পারছি না। ঘটনার পর থেকে বাচ্চাটা কাঁদতে কাঁদতে অচেতন হয়ে গেছে। কিছু বলতেও পারেনি। যন্ত্রণায় ছটফট করছে।’ তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসী আমার ছোট ভাইকে (৩০) সন্দেহ করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমি ফোন করে বলেছি, আগে বাচ্চাটা সুস্থ হোক। ওর কাছে শুনে পরে ব্যবস্থা হবে। পরে তাঁকে আমার জিম্মায় দিয়েছে।’

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল কাদের বলেন, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার যৌনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্ত বন্ধ করতে তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, সেটির জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। মেডিকেল বোর্ডই এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে পারবে।

শিশুটির এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বলেন, শিশুটির শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মূল ঘটনা সম্পর্কে কেউ কিছুই বলতে পারছে না। কেউ কিছু দেখেনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ আর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির এক চাচাকে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তাঁকে শিশুটির বাবাসহ তাঁদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

আফরোজা

×