
ছবি: জনকণ্ঠ
সোয়া কোটি টাকা দূর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও বিএনপির নেতা পরিমল চন্দ্র দাস। সোমবার (১৯ মে) তাঁর নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে উভয়পক্ষের শুনানী অন্তে সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদক বগুড়া কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর জাহিদ জানান, পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নভেম্বরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালে পরিমল চন্দ্র দাসের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে এক কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়া যায়। দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর দুদক জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান। তিনি তদন্ত শেষে পরিমলের বিরুদ্ধে ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে ওই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র গ্রহন করে আদালত পরিমল চন্দ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর ইন্সপেক্টর জাহিদ আরো জানান, আসামী পরিমলের পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান, অ্যাড. আতাউর রহমানসহ একাধিক বিএনপি পন্থী আইনজীবী। দুদক পক্ষে পিপি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ অনুপস্থিত থাকায় দুদকের অপর আইনজীবী অ্যাড. উত্তম কুমার জামিন শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন।
পরিমল চন্দ্র দাস বগুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর অভিযুক্ত একমাত্র আসামীর জামিন পাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া আদালতের বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী।
এসইউ