লালমনিরহাট সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস গলাকাটা হাসিনা হত্যা মামলার মূল আসামি ও নিহত নারীর সৎ ছেলে মিঠু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। শনিবার (১৮ মে) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে আদিতমারী উপজেলার সাপটিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-১৩ এর অধিনায়কের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বিপ্লব কুমার গোস্বামী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, র্যাব-১৩ এর সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মিঠু মিয়া (২৫) আদিতমারী উপজেলার চরকুটিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং আশরাফুল ইসলামের ছেলে। আশরাফুল ইসলামও বর্তমানে একই হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
র্যাব জানায়, ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে তারা হত্যা, ধর্ষণসহ সব ধরনের জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই মামলার বিষয়েও তারা ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ দুপুরে সদর উপজেলার হাড়িভাঙা ইউনিয়নের একটি ভুট্টা ক্ষেতে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় এক কৃষক। নিহত নারীর আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। এ ঘটনার পরদিন শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-০৯, জিআর নং-১১৬, তারিখ-০৫/০৩/২০২৫, ধারা-৩০২/২০১/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০)।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই ঘটনাটি নিয়ে প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিহত নারীর স্বামী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল। তবে পরবর্তীতে তদন্তে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উঠে আসে মিঠুর নাম।
গ্রেফতারকৃত মিঠু মিয়াকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নুসরাত
