
ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভাটারা থানার এনামুল হক হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না পেয়ে আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৮টায় পুলিশ তাকে আদালতের হাজতখানায় হাজির করে। পরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে সকাল ১০টায় ২৭ নম্বর আদালতে তোলা হয়। শুনানি শুরু হয় ১০টা ৫ মিনিটে।
এদিকে নুসরাত ফারিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার সর্বশেষ পোস্টে একটি সংবাদ লিংক শেয়ার করে বলা হয়, তার বিদেশযাত্রার সময় ও উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পূর্ব-নির্ধারিত। শেয়ার করা নথিতে দেখা যায়, তিনি ২০২৪ সালের ৯ জুলাই ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন এবং দেশে ফেরেন ১৪ আগস্ট।
নুসরাত ফারিয়ার ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, মামলার প্রকৃত তদন্ত ছাড়া তাকে গ্রেফতার করা অনভিপ্রেত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আদালত আগামী ২২ মে আবারও জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে রবিবার (১৮ মে) রাতেই বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন এনামুল হক। সেদিন আন্দোলন দমনে চালানো গুলিতে তার পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার পর ২০২৫ সালের ৩ মে তিনি মামলা করেন।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৭ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ মোট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়। নুসরাত ফারিয়া হচ্ছেন মামলার ২০৭ নম্বর আসামি। অভিযোগপত্রে তাকে ‘আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী ২২ মে, তার জামিন আবেদনের ওপর ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখছে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষও।
আঁখি