
ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংস্কার প্রকল্পের বরাদ্দ তালিকায় একজন সাবেক ইউএনও’র নাম উঠে আসায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদারের তালিকায় সরকারি কর্মকর্তার নাম থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
ঠিকাদারের তালিকায় ইউএনওর নাম। প্রকল্পের কাজেও উঠেছে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংস্কার প্রকল্পের তালিকায় দেখা গেছে রাণীশংকৈল ইউনিয়নের নাম। যদিও এটি কারিগরি ত্রুটি বলে দাবি, বর্তমানে পীরগঞ্জে বদলি হওয়া রকিবুল হাসানের। তদন্ত করে দেখছে জেলা প্রশাসন।
ঠাকুরগাঁওয়ের ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংস্কার ও বরাদ্দের পরিমাণের তালিকায় আছে ঠিকাদারদের নাম। সেই তালিকায় মিলল একজন ইউএনও’র নামও।
২০২৩–২৪ অর্থবছরে জেলার পাঁচ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংস্কার করা হয়। এর মধ্যে রাণীশংকৈল রয়েছে দুটি। বরাদ্দ প্রায় ১০ লাখ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারদের দিয়ে এসব কাজ বাস্তবায়নের কথা। সেখানে রাণীশংকৈলের ইউএনও রকিবুল হাসানের নাম থাকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
বর্তমানে পীরগঞ্জে বদলি হয়েছেন রকিবুল হাসান। জানতে চাইলে, আগের অফিসে ঠিকাদারের তালিকায় তার নাম থাকার রহস্য কী?তিনি বলেন, “আমার নাম থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। সেটা তো কারিগরি ত্রুটি থাকতে পারে।”
অন্য উপজেলাগুলোতেও কাজের মান নিয়ে খুশি নন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের লোকজন। তারা অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলেছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকলে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক। তিনি জানান, “ঠিকাদার হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কোথাও যদি কাজ না হয়, তাহলে সেগুলো তদন্তে আমি অবশ্যই যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
উল্লেখ্য,পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪৯ লাখের বেশি টাকা।
সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নতুন নয়, তবে ইউএনও’র নাম উঠে আসায় এ ঘটনায় প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
সূত্র:https://tinyurl.com/26makebk
আফরোজা