
ছবিঃ সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার হরিপুরে পারিবারিক কলহের জেরে রত্না খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী। পরে স্বামী নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
শনিবার (১৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার হরিপুর মেছোপাড়া এলাকায় রত্নার বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রত্না হরিপুর মেছোপাড়ার আমদ মন্ডলের মেয়ে এবং একই গ্রামের রশিদ মোড় এলাকার ওমর আলীর ছেলে টুটুলের স্ত্রী। তাদের সংসারে ৮ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় ৯ বছর আগে রত্না ও টুটুলের বিয়ে হয়। সংসারে কলহ লেগেই থাকত। একপর্যায়ে রত্না টুটুলকে তালাক দেন এবং পরে অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে দ্বিতীয় সংসারও টিকেনি। সম্প্রতি তিনি প্রথম স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন। এর কিছুদিন পরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
দুপুরের দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘরে গিয়ে রত্নাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বোন তন্নী ও অন্তরা অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে টুটুল ও তার পরিবারের লোকজন। আমরা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর টুটুল নিজেই বিষপান করেন। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইমরান