
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ৪৬ জন একযোগে পদত্যাগ করেছেন। আজ (৮ মে) বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পদত্যাগকারী যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান জোহান। এ সময় পদত্যাগকারীরা দাবি করেন, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩২১ সদস্যের কমিটির অন্তত ১০০ জনই ভূয়া।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি গঠনের পর থেকেই দায়িত্বশীলদের মাঝে স্পষ্ট হয়ে উঠে দায়িত্বহীনতা ভাব। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয় নানা দুর্নীতির অভিযোগ। জেলা কমিটির কয়েকজন অবতীর্ণ হন স্বৈরাচারের ভূমিকায়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, জেলা কমিটির সদস্য সচিব গত ২৬ এপ্রিল বৃক্ষ রোপণের নামে বিভিন্ন দপ্তরে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে দরখাস্ত দেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সুনির্দিষ্ট এই অভিযোগসহ অন্যান্য অনিয়ম ও অসাংগঠনিক কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে চাইলে সদস্য সচিব ও আহ্বায়কের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আহ্বায়কের বিরুদ্ধে বাজার কেলেঙ্কারি এবং সংগঠনের আরো দুজনের নামে বীজ গুদাম কেলেঙ্কারির অভিযোগ, মামলা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বারা তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। এসবের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতেই গত ৩ মে সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া ও সংগঠক রিয়াদ আহমেদ উল্লাসকে বহিষ্কার করা হয়। এটা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের একক আধিপত্য ও স্বৈরাচারি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন তারা। এরই প্রতিবাদে আজকে জেলা কমিটির ৪৬ জন একযোগে পদত্যাগ করেছেন মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, পদত্যাগকারী সংগঠক মিতু আক্তার, মির্জা মোফাজ্জল, নাগরিক কমিটির সদস্য হাসিবুল হাসিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স গণমাধ্যমে বলেন, ৪ থেকে ৫ জন পদত্যাগ করেছে শুনেছি। আর পদত্যাগকারী অন্যদের সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের পদত্যাগপত্র এখনো তারা পাননি বলেও জানান। এ সময় তিনি যেসকল অভিযোগ উত্থাপন করে তারা পদত্যাগ করেছেন, সেগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
রাজু