
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা। দীর্ঘদিন পর মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা,কেউ পুরনো নৌকা মেরামত করছেন, কেউ বা নতুন নৌকা তৈরি করছেন। কেউ আবার নৌকায় আলকাতরা মাখিয়ে জাল ঠিকঠাক করে নিচ্ছেন সামুদ্রিক অভিযানের জন্য।
জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও মার্চ ও এপ্রিল,এই দুই মাস ভোলার ১৯০ কিলোমিটার জলসীমাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছিল সরকার। এ সময় প্রায় তিন লাখ জেলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে কাটিয়েছেন কর্মহীন দিন। নিবন্ধিত ১ লাখ ৭০ হাজার ২৪৩ জন জেলের মধ্যে হতদরিদ্র ৮৯ হাজার ৬০০ জনের জন্য সরকার ১৬০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও, অনেকেই তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেদের কষ্ট হলেও অভিযানকে সফল বলেই মনে করছেন ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব। তিনি বলেন, “৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় আমরা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের অভিযান ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়েছি। সাধারণ জেলেরা আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। অবৈধ কোনো জাল ব্যবহার করার সুযোগ দিইনি। বিশেষ করে চরগোড়া, খুঁটি জাল, পাইজাল বা বেহুন্দি জাল,যেগুলোর মাধ্যমে বেশি জাটকা ধরা হয়,তাও আমরা তুলে ফেলেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এই বছর জাটকার পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনি সেগুলো সাগরে ফিরে যাওয়ার সুযোগও পেয়েছে। ফলে আমরা আশা করছি, জেলেরা যখন সাগরে নামবেন, তখন তাদের জালে ধরা পড়বে পর্যাপ্ত ইলিশ। এ বছর ভোলা জেলার জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।”
দুই মাস পর আবারও সাগরে নামতে প্রস্তুত ভোলার জেলেরা। সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, এবার তাদের জাল ভরবে রুপালি ইলিশে, মুখে ফুটবে প্রাপ্তির হাসি। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সাগরে ফিরছে স্বপ্ন,এই প্রত্যাশায় উপকূল জুড়ে এখন ব্যস্ততা আর আশার আলো।
সূত্র:https://tinyurl.com/4ev57uys
আফরোজা