
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ঝড়, মুষলধারে বৃষ্টি ও টানা কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টি হয়েছে।গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নে ব্যাপক আকারে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে আম ও ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, জেলাজুড়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় শুধুমাত্র বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়াতে জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল আমের দ্রুত বর্ধন ও ঝরে পড়া রোধে উপকার হয়েছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ব্যাপকভাবে বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি হওয়াতে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
গোমস্তাপুরের ধান চাষি শফিকুল আলম বলেন, কয়েকদিন পরেই ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ সময় শিলাবৃষ্টিতে ধানের চারা নুইয়ে পড়েছে। এতে কমে যাবে ফলন। তাই দুশ্চিন্তায় আছি।
নাচোলের আম বাগান মালিক আতিকুর রহমান বলেন, আমের আকার এখন বড় হয়েছে। এ সময় শিলাবৃষ্টি হলে এতে আমের ক্ষতি হবে, সবগুলো আম ঝড়ে পড়বে।
গোমস্তাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার বলেন, মাত্র কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে চাষিদের ধানসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এখনও সম্ভব হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, সন্ধ্যার আগে জেলাজুড়ে মুষলধারে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। তবে নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে পার্বতীপুর ইউনিয়নে এর পরিমাণ বেশি। যেসব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার ধান ও আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত কয়েকদিনের অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আম ঝরে পড়ছিল। এই বৃষ্টির কারণে ঝরে পড়া কমবে এবং দ্রুত আম বড় হবে। তিনি আরও জানান, ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিতে ধানের ক্ষয়ক্ষতি হবে। পাশাপাশি সামান্য ঝড়ের কারণে ধানের চারা নুইয়ে পড়ায় ফলন কমবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না বলে জানান তিনি।
আফরোজা