
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো সংস্কার এবং নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার এবং নির্বাচনের দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের অবসান ঘটাবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই অন্তর্বর্তী সরকার গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা, রাজনৈতিক দল এবং বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শ্রমজীবী জনগণের সম্মিলিত সমর্থনের ভিত্তিতে। কাজেই এই সমর্থনের সামষ্টিক জায়গাটা বিবেচনায় রেখেই অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের দিনে বাংলাদেশের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো—একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটানো। রাজনৈতিক দলসমূহ, যদিও জনগণের একমাত্র প্রতিনিধি নয়, তবুও তারা জনগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সকল বিষয়ে সর্বসম্মতি এসেছে, সেটাই জাতীয় সনদ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। আর যেখানে দ্বিমত রয়েছে, সেটি নিয়ে জনগণের কাছেই যাওয়া উচিত।
“জনগণই দেশের ক্ষমতার কেন্দ্র। কাজেই যেকোনো সংস্কার বা রূপান্তর শেষ পর্যন্ত জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমেই রেটিফাই করতে হবে। এটাই যেকোনো রিপাবলিকের মৌলিক পদ্ধতি,” বলেন সাকি।
তিনি আরও যোগ করেন, “সংবিধানের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতা কাঠামোর সংস্কার, সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসাথে করে জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়া—এটাই হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের টেকসই পথ। এই পথে ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে এবং ঐকমত্যই হবে আমাদের পথনির্দেশনা। এবি পার্টি সেই ঐকমত্য তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
শেষে তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থ, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানবিক করিডোরের সিদ্ধান্ত কিংবা নির্বাচনী রোডম্যাপ—সব ক্ষেত্রেই সরকারের সিদ্ধান্ত যেন সর্বসম্মত এবং জনগণনির্ভর হয়। তবেই আমরা এগোতে পারবো গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে।”
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/1BoFvU18w2/
রবিউল হাসান