ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

রেমেল কেড়ে নিয়েছে ঈদ আনন্দ! গৃহহীন শত শত পরিবার!

 জিয়াউল হক, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল 

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ১৬ জুন ২০২৪

রেমেল কেড়ে নিয়েছে ঈদ আনন্দ! গৃহহীন শত শত পরিবার!

ঝড়। ফাইল ফটো

গত ২৬ মে রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে  ক্ষতিগ্রস্থ বরিশাল জেলার বৃহত্তম উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবার। দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত পরিবার এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। 

ঝড়ের তীব্র বাতাস ও ঝড়ো জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেকের বাড়িঘর ভেসে গেছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

দেশের সবচেয়ে বেশি নদী নিয়ে গড়ে ওঠা উপজেলায় তুলাতলি, শ্রীমন্ত, কারখানা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, পায়রা, রাঙ্গাবালিয়া, খয়রাবাদ, পান্ডব , রাঙ্গামাটি ও ধুলিয়ার এই ১১ টি নদী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীবহুল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেকের বাড়িঘর ভেসে গেছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এসব নদীর বেড়িবাঁধের বাইরের অংশ, বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখনো ক্ষতিগ্রস্থরা খাবার ও আশ্রয়ের অভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় তারা এখনো আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। 

অনেকে আবার খোলা আকাশের নিচে টং ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে তাদের জীবিকাও ব্যাহত হয়েছে। শত শত পরিবার এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদুল আযহা। দরিদ্র পরিবারগুলো ঘূর্ণিঝড় রিমেল তাণ্ডবে মাথা গোজার শেষ আশ্রয় টুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ সকল পরিবারের হাজার হাজার মানুষ এখন চরম দুর্দশায় দিন কাটছে। 

এখন তাদের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ। টেকসই বেড়িবাঁধ, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা যাতে দ্রুত সময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।

স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিকল্প নেই। 

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তীতে ১৪ টি ইউনিয়নে ৩ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের তালিকা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
 

 এসআর

×