ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

সেন্টমার্টিনের অদূরে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধ জাহাজ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২০:৪২, ১৪ জুন ২০২৪

সেন্টমার্টিনের অদূরে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধ জাহাজ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

যুদ্ধ জাহাজ।

গত তিনদিন ধরে একই স্থানে মিয়ানমারের সেই জাহাজটি রয়ে গেছে। যে জাহাজ থেকে মিয়ানমারের স্থলে গুলি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মিয়ানমারের সীমান্তের ওপার থেকে রাতভর মর্টার শেল ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। 

সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসা সেই শব্দে টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।  সেন্টমার্টিন থেকে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ, আতঙ্ক দ্বীপ জুড়ে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ। তিনদিন ধরে একই জায়গায় নোঙর করে আছে জাহাজগুলো। 

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখান থেকেই মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে ভারি গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল ছোঁড়া হচ্ছে। এ কারণে আতঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা। 

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে দেখা গেছে, তিনটি মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে আছে। তবে সেটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে কিনা জানা যায়নি। 

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দারা বলেন, এত কাছ থেকে এর আগে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ কখনো দেখা যায়নি। 

আমাদের জলসীমায় এই জাহাজগুলো অবস্থান করছে মনে হচ্ছে। এই জাহাজগুলো থেকে ওরা মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করে। গুলির আওয়াজ শুনা যায় এপার থেকে। আমরা এ কারণে অনেক ভয় পাচ্ছি। আমাদের জলসীমায় জাহাজের অবস্থান। আমরা অনেক বেশি আতঙ্কে আছি। ভয় পাচ্ছি কখন কি হয় জানি না। 

আমাদের জলসীমায় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ চলে এসেছে। মানুষ যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে। আমরা গোলাগুলির শব্দ প্রতিদিন শুনতে পাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, নৌযান চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক। দুইদিনে চারটি ট্রলারে করে লোকজন যাতায়াত করেছে অনেক ঝুঁকি নিয়ে। আমরা এরকম চলাচল চাই না।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে কিনা আমরা জানি না। এগুলো নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ড বলতে পারবে। তবে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজের ব্যাপারে। 

এদিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৯ দিন নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজে করে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন।

একাধিক সূত্র জানায়, টানা সাড়ে তিন মাস ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ টি সীমান্তচৌকি, রাচিদং-বুচিদং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।

 এসআর

×