ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

রেমাল তাণ্ডবে কলাপাড়ায় ৭৬০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী,

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২৭ মে ২০২৪

রেমাল তাণ্ডবে কলাপাড়ায় ৭৬০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

জোয়ারে প্লাবিত হয়ে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল কলাপাড়া উপজেলার ওপর দিয়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে। রবিবার রাতের জোয়ারে ঝড়ের তীব্রতা শুরু হয়। প্রবল বেগে ঝড়োহাওয়ার সঙ্গে প্রবল বর্ষণ এখনও অব্যাহত রয়েছে।

অস্বাভাবিক জোয়ার সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর, খ্রীষ্টান পল্লী, পশ্চিম হাজীপুর, নবীপুর, ফতেহপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে জালালপুর গ্রাম সংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের ওপর থেকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। সেখানকার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়। একই দৃশ্য  ইউনিয়নের গৈয়াতলা ও নিজকাটা গ্রামের । বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ৫০ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

কুয়াকাটা সৈকত এলাকা এখনও ছয়-সাত ফুট পানিতে তলিয়ে আছে। জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় সৈকতের শত শত গাছপালা উপড়ে গেছে। 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, 'প্রবল বর্ষণের কারণে এবং সেই সাথে ঝড়ো হাওয়ায় কুয়াকাটার বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক হোটেলগুলোর প্রতিটি তলায় বর্ষার পানি ঢুকে গেছে। 

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে সাগরপাড়ের ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ার চর ও চর গঙ্গামতি এলাকার বাঁধের বাহির পাশের বাসিন্দারা। এ দুটি গ্রাম গতকাল দুপুরের পর থেকে তিনদফা জোয়ারে প্লাবিত হয়। এখানকার প্রায় এক হাজার পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ঘরের থালা-বাসনসহ জিনিসপত্র। দূর্গত মানুষগুলো নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে গরু-ছাগল নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।

রবিবার বিকেল  থেকে কলাপাড়া উপজেলা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের কলাপাড়া কার্যালয়ের ডিজিএম সজীব পাল বলেন, 'ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে, খুটি উপড়ে পড়েছে। যার কারণে এগুলো ঠিক না করে বিদ্যুত সঞ্চালন ব্যবস্থা সচল করা যাচ্ছে না।'
এদিকে মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে কৃষক জামাল উদ্দিনের দুটি গরু চাম্বল গাছ উপড়ে চাপা পড়ে মারা গেছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। কৃষক জামাল উদ্দিনের বসত ঘরটিও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। 

কলাপাড়ার ইউএনও মো রবিউল ইসলাম জানান,  রেমাল তান্ডবে অন্তত ৭৬০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১৪০টি সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে।  সোমবার বেলা দুই টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তীব্র ঝড়ো হাওয়া বইছে। 
 

তাসমিম

×