ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

 ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াত 

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৫ মে ২০২৪

 ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াত 

নড়বড়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে

 কুড়িগ্রামে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে সেতু, যে কোনো মুহূর্তে দেবে যেতে পারে সেটি। তবুও নড়বড়ে ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক পথচারী ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ এগিয়ে আসেননি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, উলিপুর উপজেলার কামাল খামার ডারারপাড় মোড়ে জরাজীর্ণ ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে। ওই পথ ধরে প্রতিদিন দুর্গাপুর ইউনিয়নের ডারারপাড় এলাকার কামাল খামার, ইসলামপুর, আমবাড়ি, তালেরতল এবং ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের জানজায়গীর, মাঝবিল ও বাকারা মধুপুর গ্রামের কয়েকশ’ যানবাহনসহ হাজারো পথচারী যাতায়াত করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫০ বছর আগে ইসলামপুর গ্রাম থেকে তেঁতুলতলা বাজার সড়কে চতলা বামনি নদীর সংযোগ মুখে প্রায় ১২ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। গত বছর বন্যায় পানির তোড়ে ব্রিজের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে সেটি ভেঙে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটি ও কাঠ বিছিয়ে কোনোরকমে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও ব্রিজটি সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা।
কামাল খামার তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়। এমনকি অনেক সচেতন অভিভাবক তাদের ছোট বাচ্চাদের মাঝে মাঝে স্কুলে পাঠান না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আলম বলেন, ব্রিজটি অতিদ্রুত নির্মাণ করা উচিত। ভাঙা ব্রিজটির ছবিসহ পিআইও অফিস ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, কয়েকদিন আগে ব্রিজটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি, যতদ্রত সম্ভব সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
 

×