রাজাপুর উপজেলা নির্বাচনে ভোট চাইছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী
আর মাত্র কদিন পরই অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন। হাতে সময় নেই একদমই। প্রার্থীরা কর্মী- সমর্থক নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের কাছে। চাচ্ছেন ভোট। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
ফেনী
নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফেনীর ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নিজেকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলায় আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে রয়েছে সরকার দলীয় বর্তমান চেয়ারম্যানরা। ভোটের মাঠে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্ভার দোয়াত-কলমের প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে ভোটের আমেজ নেই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। এদিকে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর ও গ্রাম। চলছে মাইকিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে কমতি নেই। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ, উঠান বৈঠকসহ নানান অনুষ্ঠান। গণসংযোগ করছে হাট-বাজারসহ পথেঘাটে। মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট
মোরেলগঞ্জে নির্বাচনে সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোরেলগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) মোরেলগঞ্জ শাখা কমিটি।
শনিবার দুপুর ১২টায় বেসরকারি সংস্থা দি-হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় সর্বদলীয় সম্প্রীতির উদ্যোগে পিএফজি গ্রুপ মোরেলগঞ্জ শাখার আয়োজনে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পিএফজি মোরেলগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম কে আজিজ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষার্থে ভোটারদের প্রতি আহ্বান, রাষ্ট্রের প্রতি মালিকানাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে যথাসময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ ভোট প্রদান এবং প্রতিবেশীদেরকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।
অর্থের বিনিময়ে বা অন্য কোনোভাবে প্রভাবিত না হয়ে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রদান, ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আন্তরিক ভূমিকা পালন, নির্বাচনী আইন বিশেষ করে আচরণ বিধি মেনে চলা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করা, অপপ্রচার ও গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকা, অবৈধ/জালভোট প্রদান থেকে বিরত থাকা, পোস্টার ও ব্যনার না ছেঁড়াসহ সহিংসতা সৃষ্টি করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা, প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়া এবং অপ্রীতিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকা, অর্থ বা পেশীশক্তির প্রভাবেব বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং নির্ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা। একই সঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রার্থীদের উদ্দেশে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি সিদ্দিকী, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন শেখ, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সামাদ, শাহ আলম হাওলাদার, জাতীয় যুব সংহতির উপজেলা আহ্বায়ক মাসুদ রেজা, সিপিপি উপজেলা সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ নুরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের বিরামহীন প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ মুহূর্তের জমজমাট প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রার্থীরা।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌরসভা থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। উপজেলার হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে ও পাড়া- মহল্লায় চলছে পথসভা, মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা। পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাইকিং। প্রার্থীদের সমর্থনে চলছে মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা। এতে বিপাকে পড়েছেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ফলে কেউ কেউ নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে কারও পক্ষ না নিয়ে প্রচার থেকে বিরত রয়েছেন। অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হুমায়ুন কবির নির্বাচনে অংশ নিলেও তার পক্ষে দলীয় কাউকে প্রকাশ্যে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে চতুর্মুখী এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের মতে, চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম, শেখ আব্দুল হামিদ, মুস্তাক আহমেদ ও হালিমূল হক মিরুর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহবুবে সোবহান শেখ সজল ও মারুফ হোসেন সুনামের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মৌসুমী খান (হাঁস) ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। তদুপরি তিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (টেলিফোন), শেখ আব্দুল হামিদ (কাপ-পিরিচ), মুস্তাক আহমেদ (কৈ মাছ) হালিমুল হক মিরু (আনারস), গোলাম সাকলাইন (হেলিকপ্টার), ইসমাইল হোসেন (দোয়াত-কলম), ইউনুস আলী (ঘোড়া) ও হুমায়ুন কবির (মোটরসাইকেল)। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন, মাহবুবে সোবাহান শেখ সজল (টিউবওয়েল), মারুফ হোসেন সুনাম (চশমা), সাইফুল ইসলাম প্রিন্স (তালা) ও ফারুক সরকার (মাইক) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মৌসুমী খান (হাঁস), লাবণী খাতুন (কলস) এবং রুমি খাতুন (ফুটবল)।
চৌহালী, সিরাজগঞ্জ
তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে চৌহালী উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজ উদ্দীনের নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে। শুক্রবার বিকালে বেতিল গ্রামে, সন্ধ্যার পর এনায়েতপুর মেহের উন নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে ও রাতে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে উঠান বৈঠক করেন। গ্রামের সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে তাদের মতামত, চাহিদা ও নানা অভিযোগ তিনি শোনেন এবং তার পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে জনগণের জন্যই তিনি কাজ করবেন। শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে হিন্দু ভোটার বাবু নীল মনি পাল বলেন নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা ফুলঝুরি নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে আসেন, বিজয়ী হওয়ার পর তারা প্রতিশ্রুতিগুলো ভুলে যান। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম সিরাজ, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, জেলা পরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম আল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই সরকার ও আমিরুল ইসলাম। এ সময় বক্তারা আগামী ২৯ মে উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য আহ্বান জানান।
বরিশাল
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ফারজানা বিনতে ওহাব। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার বিকেলে তিনি উপজেলার আগরপুরে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমুসহ কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বেজ কমান্ডার ও বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খানের মেয়ে, সদালাপী শিক্ষানুরাগী ও বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী নির্বাচিত হয়েছেন।
টাঙ্গাইল
নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে দেলদুয়ার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেলদুয়ার উপজেলা শহর, গ্রামের হাট-বাজার, অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা ও পথ- প্রান্তর। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচার। দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি থাকলেও কৃষক, শ্রমজীবী ও কর্মব্যস্ত মানুষের মাঝে ভোটের আমেজ তৈরি হয়েছে। এবার বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, বামজোট, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমর্থিত কোনো প্রার্থী দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের ৭ নেতা। তারা হলেন- দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিক (টেলিফোন), খন্দকার হা মীম কায়েছ বিপ্লব (ঘোড়া), বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ (কাপ-পিরিচ), মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন মিয়া (মোটরসাইকেল), জুয়েল সরকার (হেলিকপ্টার), মতিয়ার রহমান মিয়া (দোয়াত-কলম), আটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক (আনারস)। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এস এম এহসানুল হক সুমন (টিউবওয়েল), সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা মশিউর রহমান (তালা), মাসুদ (পালকি), রুহুল আমীন (চশমা), সরোয়ার হোসেন (টিয়া পাখি) লড়ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- নাহিদা সুলতানা পলি (পদ্মফুল), ফিরোজা বেগম (কলস), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা আক্তার (ফুটবল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঈশ্বরদী, পাবনা
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন ঈশ^রদীতে জমে উঠেছে। আসন্ন এই নির্বাচন সামনে রেখে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী, চার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাত পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবুল কালাম আজাদ মিন্টু (মটর সাইকেল), সাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার (আনারস) এবং জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী (ঘোড়া) লড়ছেন। ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান (মাইক), সাইফুল ইসলাম বাবু মন্ডল (চশমা), আরিফুল ইসলাম লিটন (টিউবওয়েল), সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য সফিউল আলম বিশ্বাস (তালা), আব্দুর রহমান মিলন (উড়োজাহাজ), মেহেদী হাসান লিখন মোল্লা (বৈদ্যুতিক বাঘ) ও আব্দুল বারী (টিয়া)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরিন পিয়া (ফুটবল), মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সোহানা পারভীন রুনা (সেলাই মেশিন), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী (কলস) ও পারভীন খাতুন (হাঁস)। চেয়ারম্যান পদে জমজমাট প্রচারে আনারস প্রতীকের এমদাদুল হক রানা সরদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ মিন্টু সক্রিয় থাকায় তাদের মধ্যে লড়াই হবে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন।
ঝালকাঠি
জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচিত হলে উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করছেন প্রার্থীরা। রবিবার সকালে রাজাপুর উপজেলা বাইপাস সড়কে গণসংযোগ করেন আহসান হাবিব সোহাগ (কাপ-পিরিচ)। বিভিন্ন স্থানে পথচারী ব্যবসায়ী এবং যানবাহন চালকদের হাতে লিফলেট দিয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এদিকে গণসংযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়া হায়দার খান লিটন ঘোড়া। সকলে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নির্বাচিত হবেন। সাধারণ ভোটাররা সৎ যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চায়।
রাজাপুরে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ছয় ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ছয়জন অংশ নিচ্ছেন। কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন অংশগ্রহণ করছেন।
রাজশাহী
আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান পদে শুরু হয়েছে দুই প্রার্থীর যুদ্ধ। এদের মধ্যে শনিবার বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং পাড়া-মহল্লায় ভোট চেয়েছেন রোকনুজ্জামান রিন্টু ।
এ উপজেলায় দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের একজন হলেন গত নির্বাচনে রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে একক ভাবে বিজয়ী হওয়া চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু। তার প্রতীক মোটরসাইকেল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেএবার তার বিপরীতে নেমেছেন রোকনুজ্জামান রিন্টু। তার নির্বাচিত প্রতীক আনারস। স্থানীয়রা জানান, রোকনুজ্জামান রিন্টু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি সাবেক রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা আ’লীগের সদস্য হওয়ায় নির্বাচনের মাঠে তার পাল্লা বেশ ভারি। ফলে চরম বিপাকে রয়েছেন গত নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলু।
