রাণীশংকৈলে কাতিহার আরবিবি ইটভাঁটিতে দিনরাত স্বর্ণ খুঁজে বেড়াচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ
উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইটভাঁটির নিচে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুঁড়ছেন শত শত মানুষ। কেউ কোদাল, কেউ বসিলা আবার কেউ খুন্তি দিয়ে মাটি খনন করছেন। দূর-দূরান্তের মানুষ ছুটে আসছেন এখানে। ভাগ্য বদলের আশায় দিন-রাত চলছে মাটি খননের প্রতিযোগিতা। রাতে দূর থেকে হাজারো টর্চের আলোয় আরবিবি ইটভাঁটি দেখলে আলোকিত পাহাড় বলে মনে হয় অনেকের কাছে। রাতের আঁধারে টর্চের আলো জ্বেলে চলছে খননের কাজ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাঁটিতে বেশ কয়েক মাস ধরে স্বর্ণের খোঁজে খনন কাজ চলছে। ভাটায় কাজ করতেন পঞ্চগড় ও ডোমারের ৮-১০ জন শ্রমিক। তারা একদিনের ব্যবধানে ওখান থেকে কাজ ছেড়ে চলে গেছেন। ভাঁটি মালিক ফোন দিয়ে বকেয়া টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা জানালে তারা বলেন, ওই টাকা আমাদের লাগবে না। কয়েকদিন পর আমরা নিজেরাই ভাঁটি দেব। লোকজন থাকলে পাঠাইয়েন। মাটি খননকারী ভেকুচালক এলাকা ছেড়ে কোথায় গেছেন কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মানুষ স্বর্ণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে আসছেন নানা পেশার মানুষ। আবার নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকে।
রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য উমের আলী বলেন, শুনেছি মাটির নিচ থেকে অনেকেই স্বর্ণ পেয়েছেন। তবে যারা পেয়েছেন সবাই গরিব শ্রেণির মানুষ। এ বিষয়ে অনেকেই প্রশাসনকে জানিয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
নেকমরদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মুসা বলেন, ‘আমিও ওখানে কয়েকদিন গেছি স্বর্ণ খুঁজতে। অনেককেই স্বর্ণ পেতে দেখেছি। পাওয়ার পর ওখান থেকে তারা দৌড়ে চলে যায়। আমার সঙ্গে স্বর্ণ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই পেয়েছেন। কিন্তু আমার কপাল খারাপ, পাইনি।’
আরবিবি ইটভাঁটির ব্যবস্থাপক লিটন আলী জানান, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাঁটির স্তূপ করা হয়েছে। স্বর্ণ পাওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেন। রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।